একসময় বলিউডে ঝড় তুলেছিলেন তিনি। একের পর এক ছবিতে তাঁর উপস্থিতি নজর কেড়েছিল দর্শকের। এখন সে ভাবে আর রুপোলি পর্দায় তাঁকে দেখা যায় না। তিনি সমীরা রেড্ডী। পর্দায় না দেখা গেলেও সমাজমাধ্যমে তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি। যাঁর লাস্যময়ী চেহারা ঝড় তুলেছিল, বলিপাড়ার সেই সমীরা একসময় নিজেই নিজেকে আয়নায় দেখতে পছন্দ করতেন না। নির্মেদ, ছিপছিপে শরীরের ওজন বেড়ে দাঁড়ায় ১০৫ কিলোগ্রাম। রেহাই পাননি সবজিবিক্রেতার হাত থেকেও।
এখন স্বামী ও ছেলেমেয়েকে নিয়ে সংসার সমীরার। মাতৃত্বের স্বাদ পুরোদমে উপভোগ করছেন নায়িকা। কিন্তু মা হয়ে ওঠার যাত্রাপথে যে সব শারীরিক সমস্যায় ভুগেছিলেন, তা ভুলতে পারেননি সমীরা। মা হওয়ার পরে ওজন বেড়ে যায় তাঁর, যা নিয়ে জেরবার হয়েছিলেন সমীরা। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘মা হওয়ার পর থেকে আমার হরমোনের এমন পরিবর্তন শুরু হয় যে, ছিপছিপে চেহারা থেকে ১০৫ কেজি ওজন হয়ে যায়। লোকে আমাকে দেখে নানা তির্যক মন্তব্য করতেন। পথে সবজিবিক্রেতা পর্যন্ত বলতেন, এ মা! কেমন দেখতে হয়ে গিয়েছেন! খুব কষ্ট হত তখন।’’
অক্ষয় ভার্দে আর সমীরার প্রথম সন্তান হংসের জন্ম ২০১৫ সালে। তার পর ২০১৯ সালে জন্ম হয় কন্যা নাইরার। অভিনেত্রী জানাচ্ছেন, মা হওয়ার পরে শুধু চেহারায় বদল নয়, মানসিক অবসাদও তাড়া করে বেড়াত তাঁকে। উদ্বেগ, অস্বস্তি, দুশ্চিন্তায় রাতের পর রাত ঘুমোতে পারতেন না তিনি, যার প্রভাব পড়ত তাঁর আচরণেও। একটা সময় রোগা হওয়ার চেষ্টাও করেন। তবে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘এই ৪৬ বছর বয়সে বুঝেছি, না খেয়েদেয়ে রোগা হওয়া সম্ভব নয়। আমি ভিতরের শক্তি বাড়ানোয় বিশ্বাসী। নিয়মিত শরীরচর্চা করি ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চাই।’’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।