তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে দায়ের করা চারটি আবেদনের শুনানি বুধবার (২৭ আগস্ট) আবারও শুরু হচ্ছে।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাত বিচারকের বেঞ্চ এ শুনানি গ্রহণ করবেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) আবেদনগুলোর ওপর প্রাথমিক শুনানি হয়।
আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এরপর আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য ২৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বৈধতা নিয়ে প্রথম আইনি চ্যালেঞ্জ আসে ১৯৯৬ সালে। ওই বছরই সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এ ব্যবস্থা চালু করা হয়। পরে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন। হাইকোর্ট সেই রিট খারিজ করে সংশোধনীকে বৈধ ঘোষণা করে। তবে ২০০৫ সালে রায়টির বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। দীর্ঘ শুনানির পর ২০১১ সালের ১০ মে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ওই রায় দেন।
যদিও রায়ে বলা হয়েছিল, অবিলম্বে এই ব্যবস্থা বাতিল না করে দশম ও একাদশ জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে পারে। তবে তার জন্য সংসদে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন বলে আদালত মত দেন।
এরপর দীর্ঘদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে নতুন কোনো আইনি উদ্যোগ না থাকলেও, চলতি বছরের ২৫ আগস্ট বিষয়টির পুনরায় বিবেচনা চেয়ে প্রথম রিভিউ আবেদনটি করা হয়। সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ আরও চার বিশিষ্ট ব্যক্তি এই আবেদন করেন। বাকি চারজন হলেন— তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং জাহরা রহমান। তাদের পক্ষে আবেদন দাখিল করেন অ্যাডভোকেট শরীফ ভূঁইয়া ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন।
এরপর ১৬ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে রিভিউ আবেদন করা হয়। আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সর্বশেষ ২৩ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার দাবিতে আরেকটি রিভিউ আবেদন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির পক্ষে আবেদন দায়ের করেন সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। এই আবেদনও দায়ের করেন আইনজীবী শিশির মনির।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।