চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর তিন বছরের শিশু তাসনুহা তাবাসসুমের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১২টার দিকে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে শিশুটির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সাথী আক্তারকে (২০) আসামি করে আজ শুক্রবার শাহরাস্তি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন তাবাসসুমের বাবা রুবেল পাটওয়ারী। পরে অভিযুক্ত সাথী আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে গত বুধবার দুপুরে নিখোঁজ হয় তাসনুহা তাবাসসুম। সে উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের পানচাইল গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির ট্রাকচালক রুবেল পাটওয়ারমেয়ে।
জানা যায়, নিখোঁজের পর পরিবারের সদস্যরা তাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। বাড়ির কোথাও খুঁজে না পেয়ে একপর্যায়ে বাড়ির পুকুরে ডুবুরি দল নামিয়ে তল্লাশি করে। তাতেও না পেয়ে পরবর্তীতে পুকুরে জাল ফেলে ও শিশু তাবাসসুমকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে বাড়ির লোকজন পুকুরে বস্তাবন্দি কিছু ভাসতে দেখে বস্তাটি ওপরে তোলে। তাতে তাবাসসুমের মরদেহ দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে শাহরাস্তি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর পুলিশ ও এলাকাবাসী তল্লাশি চালিয়ে শিশুটির চাচার ঘরের বিভিন্ন স্থানে রক্তের চিহ্ন দেখতে পায়।
এ সময় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চাচা রিপন পাটওয়ারী ও চাচি সাথী আক্তারকে আটক করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাওলানা আমিনুল হক বলেন, ‘আমার আগেই সন্দেহ হয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর আমি ঘর তল্লাশি করতে বলি। তখন পুলিশ শিশুটির চাচার ঘর তল্লাশি করে কিছু আলামত দেখতে পায়। পরে সাথী আক্তার ও তার স্বামী রিপনকে আটক করলে চাচি পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেয় সে তাসনুহা তাবাসসুমকে হত্যা করেছে।’
তাসনুহার বাবা রুবেল পাটওয়ারী বলেন, ‘আমাদের একমাত্র আদরের মেয়ে তাসনুহা তাবাসসুমকে হারিয়ে কী করে থাকবো? আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার বলেন, ‘শিশু তাসনুহা তাবাসসুমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আসামি সাথী আক্তারকে গ্রেপ্তারের পর চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।