স্ত্রীকে খুনের পর তার দেহ ১৭ টুকরো করে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ফেলে দেন স্বামী। ভারতের মহারাষ্ট্রের ভিওয়ানিতে এমনই একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু ওই ব্যক্তি কেন স্ত্রীকে খুন করলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত কয়েক দিন ধরেই শহরের নানা প্রান্ত থেকে দেহাংশ উদ্ধারের খবর আসছিল। কোথাও হাত, কোথাও পা, কোথাও কোমরের অংশ— এভাবে গত কয়েক দিন ধরেই নানা জায়গা থেকে দেহাংশ উদ্ধারের খবর পাচ্ছিল পুলিশ। ‘সিরিয়াল কিলার’-এর তত্ত্বও ঘোরাফেরা করতে শুরু করে। ফলে শহরে আতঙ্কও বাড়ছিল।
গত ৩০ আগস্ট দেহাংশ উদ্ধার হওয়ার প্রথম খবর আসে পুলিশের কাছে। একটি কসাইখানার কাছ থেকে এক মহিলার কাটা মাথা উদ্ধার হয়। সমস্ত থানাগুলোকে সতর্ক করা হয়। কোথাও কোনো নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়। তখন জানা যায়, ভৈওয়াড়া থানা এলাকায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে। এক মহিলা তার কন্যার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই সূত্র ধরে খুন হওয়া মহিলার পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। তার পরই মহিলার স্বামীকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলে তদন্তকারীদের দাবি। অভিযুক্তের নাম তহ্বা। তার স্ত্রী মুস্কান মহম্মদকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, মুস্কানকে খুনের পর তার দেহ ১৭ টুকরো করে ফেলে দেন তহ্বা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।