ইসরেয়েলের ওপর ফের হামলা হয়েছে ইয়েমেন থেকে। অন্যান্যবারের তুলনায় এবারের হামলাটির ভয়াবহতা ছিল অনেকটাই বেশি। এ হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে দেশটির উদ্ধারকর্মীরা।

ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর এলাতে এ হামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দ্য টাইমস অব ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বুধবার লোহিত সাগরের উপকূলীয় এলাত এলাকায় একটি ড্রোন আঘাত হানে। এ সময় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেটিকে ঠেকাতে ব্যর্থ হয়।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে টেলিগ্রামে জানানো হয়েছে, জনগণকে অনুরোধ করা হচ্ছে হোম ফ্রন্ট কমান্ডের নির্দেশনা মেনে চলতে এবং নতুন নির্দেশনার প্রতি সতর্ক থাকতে।
এদিকে ইয়েমেনের হুতি যোদ্ধারা এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীটির মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারি আল জাজিরাকে বলেছেন, একাধিক ড্রোন ব্যবহার করে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এবং এগুলো সফলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে। আমরা উম্ম আল-রাশরাশ ও বির আল-সাবা (বর্তমানে বিয়ারশেবা নামে পরিচিত) এলাকায় ইসরায়েলি শত্রুর কয়েকটি স্থানে আঘাত হেনেছি।
জর্ডানের রাজধানী আম্মান থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক হামদাহ সালহুত জানিয়েছেন, এলাত অতীতে একাধিকবার হুতিদের লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। গত সপ্তাহেও সেখানে একটি ড্রোন আঘাত হেনেছিল। তখনও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়নি।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা মাগেন ডেভিড আদম জানিয়েছে, দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বাকিদের আঘাত মাঝারি ও হালকা। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থল পরীক্ষা করছে। জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে যাতে ধ্বংসাবশেষের কাছে না যায় এবং কোনো অংশ স্পর্শ না করে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের শহরে যেকোনো হামলার জবাব হুতি শাসনব্যবস্থাকে বেদনাদায়ক আঘাতের মাধ্যমে দেওয়া হবে। তিনি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন নতুনভাবে প্রতিক্রিয়ার পরিকল্পনা করতে।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজও হুমকি দিয়ে বলেছেন, হুতিদের কঠিন শিক্ষা দেওয়া হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি লিখেছেন, যারা ইসরায়েলের ক্ষতি করবে, তারা সাতগুণ ক্ষতির শিকার হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই হুতিরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। এছাড়া তারা লোহিত সাগরে ইসরায়েল-সংযুক্ত জাহাজগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে, যার ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্যে বিঘ্ন ঘটেছে। হুতিদের দাবি, গাজায় যুদ্ধবিরতি হলেই এসব হামলা বন্ধ করবে তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।