যদি সুনাম ধরে রাখতে হয়, তবে মান্দাতা আমলের রাজনীতি ধরে রাখলে চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, আমরা যখন থেকে রাজনীতিতে ফুলটাইম সময় দেওয়া শুরু করি, তখন থেকেই কেবল মিছিল মিটিংয়ে সীমাবদ্ধ ছিলাম না, সামাজিক এবং মানবিক নানা কাজকে প্রাধান্য দিয়েছি।রাজনীতি মানেই মিছিল মিটিং না, সামাজিক এবং মানবিক দিকগুলোকেও প্রাধান্য দেওয়া। আমাদের সময় এ কাজগুলোতে তেমন ঝোঁক ছিল না। এখন এ জায়গায় অনেক প্রতিযোগিতা।ফলে সে মান্দাত্তা আমলের রাজনীতি ধরে রাখলেই চলবে না।
সামাজিক এবং মানবিক দিকগুলোকে ধরে রাখতে হবে বিশেষ করে গণঅভ্যুত্থানের ৫ আগস্টের তারিখের পর থেকে এ বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার ঢাকাস্থ শিক্ষার্থীদের সংগঠন রামগতি স্টুডেন্ট কমিউনিটি ঢাকা (আরএসসিডি) কর্তৃক আয়োজিত এক যুগ পূর্তি উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, তখন থেকে সবকিছুতে আমরা বর্তমান শিক্ষার্থীদের প্রজন্মকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে শুরু করেছি। শিক্ষার্থীদের কথাগুলোকে প্রাধান্য দিয়েই রাজনীতি করছি।
আরএসসিডির এক যুগ পূর্তি এবং মিলনমেলা উপলক্ষে বিকাল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির অভ্যন্তরীণ গেমস রুমে এ অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
তিনি রামগতির শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতা স্বত্তেও রামগতির উপকূলীয় অঞ্চলের ছেলেমেয়েরা অনেক আগে থেকেই সক্রিয়ভাবে পড়াশোনায় অংশ নিয়েছে। যদিও তাদের জন্য এটি কখনোই সহজ কাজ ছিল না। রামগতির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবসময় প্রগতিশীলতা এবং মন মানসিকতায় উর্বরতা ছিল বলেই এটি সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা যদি মধ্যে দলমতের বাইরে ঐক্য তৈরি ধরে রাখতে পারি, তবে রামগতিসহ পুরো লক্ষ্মীপুরের বিশৃঙ্খলা, মাদক ইত্যাদিকে দূর করেসুন্দর সমাজ গড়তে পারব। নদী ভাঙন রামগতির মানুষের জন্য প্রধানতম চ্যালেঞ্জ। ঐক্যবদ্ধভাবে এটি প্রতিরোধও সম্ভব।
অনুষ্ঠানে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগরের) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আশরাফ উদ্দিন নিজান বলেন, আগামীর বাংলাদেশ মানবিকতা এবং গণতন্ত্রের বাংলাদেশ। আমরা সবার সাথে সুসম্পর্ক রাখছি। অনেককে ক্ষমা করে দিয়েছি। তবে যারা গুম-খুন করেছে তাদের সাথে আপোষ করব না।
তিনি রামগতির শিক্ষার্থীদের সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান এবং সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি বলেন, শিক্ষার্থীদের কেবল শ্রেণিকক্ষে কিংবা পাঠ্যপুস্তকে সীমাবদ্ধ না থেকে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া ও দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে।
নিজেকে যেমন যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে একই সঙ্গে নৈতিকতার দিক থেকেও উঁচুমানের হতে হবে। তাহলেই দেশ ও জাতি পাবে সেই প্রত্যাশিত নেতৃত্ব। ভাগ্য বদলাবে জাতির। শান্তি পাবে শহিদদের আত্মা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত জিএস মাজহারুল ইসলাম, এনসিপির নেতা ডা. মিনহাজুল আবেদিন, আরএসসিডির সভাপতি মোস্তফা আহমেদ অয়ন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নানসহ সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের এবং সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পেশায় উত্তীর্ণদের বিশেষ সংবর্ধনার ব্যবস্থা করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।