২০২৬ সালে হজযাত্রীদের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিমান ভাড়া ১২ হাজার ৯৯০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩০ টাকা নির্ধারণ করে তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে হজ প্যাকেজ ঘোষণা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
এ বছর সরকারি মাধ্যমে একটি হজ প্যাকেজ-১ (বিশেষ), হজ প্যাকেজ-২ ও হজ প্যাকেজ-৩ শিরোনামে মোট তিনটি হজ প্যাকেজ নির্ধারণ করেছে সরকার।
হজ প্যাকেজ-১ (বিশেষ): এই প্যাকেজের হজযাত্রীদের মক্কায় হারাম শরীফের বহিরঙ্গণ থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ মিটারের মধ্যে এবং মদিনায় মারকাজিয়া বা সেন্ট্রাল এরিয়ায় হাজীদের আবাসন সুবিধা দেয়া হবে। এটাচড বাথরুমসহ একরুমে সর্বোচ্চ ৫ জনের আবাসনের ব্যবস্থা থাকবে। মিনায় জোন-২ এ তাঁবুর অবস্থান হবে এবং মিনা-আরাফায় ডি+ ক্যাটাগরির সার্ভিসসহ মোয়াল্লেম কর্তৃক খাবার সরবরাহ করা হবে। এ প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৫৯৭ টাকা।
হজ প্যাকেজ-২: এটি হজ প্যাকেজ-১ এর চেয়ে কিছুটা সুলভ হজ প্যাকেজ। এই প্যাকেজের হজযাত্রীদের মক্কায় হারাম শরীফের বহিরঙ্গণ থেকে ১ দশমিক ২ কিলোমিটার হতে ১ দশমিক ৮ কিলোমিটারের মধ্যে এবং মদিনায় মারকাজিয়া বা সেন্ট্রাল এরিয়ায় হাজীদের আবাসন সুবিধা দেয় হবে। এটাচড বাথরুমসহ একরুমে সর্বোচ্চ ৬ জনের আবাসনের ব্যবস্থা থাকবে। মিনায় জোন-২ এ তাঁবুর অবস্থান হবে এবং মিনা-আরাফায় ডি ক্যাটাগরির সার্ভিসসহ মোয়াল্লেম কর্তৃক খাবার সরবরাহ করা হবে। এ প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮১ টাকা।
এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন, সেটা হলো- হজ প্যাকেজ-১ ও হজ প্যাকেজ-২ এ নির্ধারিত অর্থ পরিশোধ সাপেক্ষে মক্কা ও মদিনায় ২ ও ৩ সিটের রুম আপগেডেশন ও শর্ট প্যাকেজ সুবিধা গ্রহণ করা যাবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরব অবস্থানকাল হবে সাধারণত ৩৫-৪৭ দিন। তবে শর্ট প্যাকেজে সৌদি আরবে অবস্থান কাল হবে ২২-৩০ দিন।
হজ প্যাকেজ-৩: এটি সাশ্রয়ী হজ প্যাকেজ। এই প্যাকেজের হজযাত্রীদের আবাসন হবে মক্কায় আজিজিয়া এলাকায় এবং মদিনায় মারকাজিয়া এলাকার বাইরে। একরুমে সর্বোচ্চ ৬ জনের আবাসনের ব্যবস্থা থাকবে। মিনায় জোন-৫ এ তাঁবুর অবস্থান হবে এবং মিনা-আরাফায় ডি ক্যাটাগরির সার্ভিসসহ মোয়াল্লেম কর্তৃক খাবার সরবরাহ করা হবে। হারাম শরীফে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য যাতায়াতের নিমিত্ত এসি বাসের বন্দোবস্ত থাকবে। এ প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৭ টাকা।
এই প্যাকেজটি সরকারি মাধ্যমে হজযাত্রীদের জন্য নতুন সংযোজন। এর আগে কখনও সরকারি মাধ্যমের হাজীদেরকে আজিজিয়া এলাকায় আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়নি। তবে সর্বোচ্চ হজযাত্রী প্রেরণকারী তিনটি দেশ ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও মালয়েশিয়ার হজযাত্রীদেরকে বহুবছর ধরে আজিজিয়া এলাকাতেই রাখা হয়। এছাড়া, আমাদের দেশের হজযাত্রীদেরকে দীর্ঘবছর যাবৎ যে এলাকায় রাখা হতো এই এলাকার হোটেল বা বাড়িগুলো সৌদি সরকার ভেঙে ফেলেছে। এ কারণে আগামীতে আমাদের দেশের হজযাত্রীদেরকে আজিজিয়া এলাকায়ই রাখতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।