বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জামায়াত একটি ভয়ংকর নীলনকশার মধ্যে রয়েছে। জামায়াত নেতার ভারতের সাথে যুদ্ধের ঘোষণার কথার পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। এটা রাষ্ট্রবিরোধী কথা। দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার ইঙ্গিত রয়েছে। বড় ধরনের কোনো গেম প্ল্যান কি না তা নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
খাগড়াছড়িতে চলমান অস্থিরতা প্রসঙ্গে বিএনপির রুহুল কবির রিজভী বলেন, পাহাড়ে হঠাৎ অশান্তি মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে। এগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটার পেছনে মাস্টার প্ল্যান থাকতে পারে।
সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, অভ্যুত্থানের পর প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের বসানো হয়েছে। তাদের অধীনে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
গতকালের এক অনুষ্ঠানে রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর দিকে ইঙ্গিত করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য একটি ইসলামী দল ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে।
জামায়াতর কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর রূপ ও নাম পরিবর্তন মানুষ ভালোভাবে নেয় না। জামায়াতের নাম দেখে মনে হয় পৃথিবীর অন্য দেশেও তাদের শাখা আছে, বাংলাদেশ তার মধ্যে একটি।
সম্প্রতি জামায়াত নেতার দেওয়া ভারতের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ লোক নিয়ে যুদ্ধের হুমকি প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, তাদের কথা ও কাজের মধ্যে মিল নেই। ক্ষমতার জন্য মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে তারা। এসব প্রতারণাপূর্ণ কথাবার্তা।
তিনি বলেন, আমাদের সম্প্রীতির শিকড় এত গভীরে যে, এটা সহজে উপড়ে ফেলা যায় না। বাইরে থেকে নানা ষড়যন্ত্র করা হলেও আমরা একযোগে কাজ করছি বলে তারা ব্যর্থ হচ্ছে।’
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে রিজভী বলেন, কোনো সম্প্রদায় যখন অন্যান্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে বসবাস করে, তখন ওই সম্প্রদায়ের বড় উৎসব সবার উৎসবে পরিণত হয়। উৎসব কখনও বিভাজন করে না। উৎসব মানুষে মানুষে সৌহার্দ্যের বার্তা দেয়। এইসব উৎসবের দিনে আমরা একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ধর্ম আলাদা হলেও আমাদের জাতিসত্তা এক। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন আমাদের সবার। সেখানে ধর্মের কোনো দেয়াল নেই। শেখ হাসিনা ক্ষমতার জন্য বিভাজন তৈরি করেছিলেন। তবে আমাদের মাঝে কোনো বিভাজন নেই। এটাই বাংলাদেশের সৌন্দর্য। সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে কাজ করছে বলেই সব চক্রান্ত নস্যাৎ করা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নানা ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। প্রত্যন্ত এলাকায় অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চলছে। পূজার এই সময়টাকে তারা কাজে লাগাতে ব্যস্ত। এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এই মদদ বহু আগে থেকেই দিয়ে আসছে একটি পক্ষ। দেশের এক ইঞ্চি জমির প্রতি যদি কেউ কুনজর দেয়, তবে তার চোখ ফুটো করে দেওয়া হবে। এদেশে হিন্দু-মুসলিমে কোনো বিভেদ নেই। আমাদের খাবার, পোশাক, চিন্তা- সব এক।
এ সময় বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।