বিদায়ের সুর বেজে উঠেছে শারদীয় দুর্গাপূজায়। ভক্তদের অশ্রুভেজা আবেগে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আজ শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এই শারদ উৎসব। প্রতিবারের মতো এবারও প্রতিমা বিসর্জনের জন্য রাজধানীর ১০টি ঘাট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর ২৫৪টি পূজামণ্ডপের প্রতিমা বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীর এসব ঘাটে বিসর্জন দেওয়া হবে।
ঘাটগুলো হলো- বিনা স্মৃতি স্নান ঘাট, ওয়াইজ ঘাট, নবাববাড়ি ঘাট, লালকুঠি ঘাট, তুরাগের ধউর ঘাট, মিল ব্যারাক ঘাট, পোস্তগোলা শ্মশান ঘাট, আমিনবাজার ব্রিজ ঘাট, বসিলা ব্রিজ ঘাট ও বালু নদের কয়েতপাড়া ঘাট। তবে সবচেয়ে বেশি প্রতিমা বিসর্জন হবে বিনা স্মৃতি স্নান ঘাট, ওয়াইজ ঘাট ও নবাববাড়ি ঘাটে।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে মোতায়েন থাকবে সাড়ে ৪ হাজার পুলিশ সদস্য। এ ছাড়াও অতিরিক্ত আরও প্রায় ২ হাজার ৪০০ ফোর্স মোতায়েন থাকবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে পলাশীর মোড়, রায়সাহেব বাজার ও ওয়াইজঘাটে তিনটি অস্থায়ী ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি বিসর্জন শোভাযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঘাটগুলোকে আনা হবে সিসি ক্যামেরার আওতায়। এ ছাড়া স্ট্যান্ডবাই থাকবে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াত, বোম ডিসপজাল ও কে-নাইন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, শুধু পুলিশই নয়, নিরাপত্তা তদারকিতে থাকবে র্যাবও। ৯৪টি টহল টিমের পাশাপাশি সাদা পোশাকে নিয়োজিত থাকবে তারা। এ ছাড়া সদর দপ্তরসহ প্রতিটি ব্যাটালিয়নে কন্ট্রোল রুম থেকে মনিটরিং করা হবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, একইসঙ্গে মাঠে রোবাস্ট প্যাট্রলিংয়ে থাকবে পর্যাপ্ত সেনা সদস্য। ঘাটে ঘাটে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেবে বিজিবি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।