নাসা মঙ্গল গ্রহে মানুষের আগে AI শক্তিসম্পন্ন রোবট অ্যাস্ট্রোনট পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। এটি গ্রহটিতে মানব বসতি স্থাপনের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে কাজ করবে। এই মঙ্গল গ্রহে AI অ্যাস্ট্রোনট মিশনটি আগামী দশকের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে।
SETI ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী প্যাস্কাল লি এই প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছেন। তিনি বলেছেন, AI অ্যাস্ট্রোনটরা মঙ্গলের কঠিন পরিবেশে টিকে থাকতে সক্ষম হবে। এটি মানব অভিযাত্রীদের জন্য ঝুঁকি কমাবে বলে Reuters প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
AI অ্যাস্ট্রোনটদের সম্ভাব্য ভূমিকা
এই রোবটিক অ্যাস্ট্রোনটরা মঙ্গল গ্রহে অবতরণ করবে প্রথমে। তারা মানববসতির জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি করবে। তারা বসবাসের স্থান, শক্তির উৎস এবং জীবনরক্ষাকারী ব্যবস্থা স্থাপন করবে।
AI অ্যাস্ট্রোনটরা খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানেও কাজ করবে। তারা পানি এবং অক্সিজেন উৎপাদনের ব্যবস্থা খুঁজে বের করবে। এই সমস্ত কাজ তারা পৃথিবী থেকে কোনো নির্দেশনা ছাড়াই সম্পাদন করতে পারবে।
মানব অভিযাত্রীদের জন্য সুবিধা
AI অ্যাস্ট্রোনট প্রেরণের প্রধান সুবিধা হলো নিরাপত্তা। তারা বিকিরণ এবং চরম তাপমাত্রা সহ্য করতে সক্ষম। তারা খাদ্য, পানি বা অক্সিজেনের প্রয়োজন ছাড়াই দীর্ঘ সময় কাজ চালিয়ে যেতে পারবে।
মানব অভিযাত্রীরা যখন মঙ্গলে পৌঁছাবেন, তখন সবকিছু প্রস্তুত পাবেন। এটি মঙ্গল মিশনের ব্যয় এবং ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে। NASA-র মতে, এই পদ্ধতি মহাকাশ অভিযানের নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।
প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ
নাসা ইতিমধ্যে Valkyrie নামক হিউম্যানয়েড রোবট পরীক্ষা করছে। International Space Station-এ AI অ্যাসিস্ট্যান্টও ব্যবহার করা হয়েছে। এই প্রযুক্তিগুলোই ভবিষ্যতে মঙ্গল মিশনে ব্যবহৃত হবে।
প্যাস্কাল লির মতে, AI অ্যাস্ট্রোনটরা মানবসভ্যতার সম্প্রসারণকে করবে। তারা আমাদের টেকনোলজিকাল সন্তান হিসেবে মঙ্গলে পদার্পণ করবে। এটি মহাকাশ অনুসন্ধানের ধারণাকেই পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করবে।
মঙ্গল গ্রহে AI অ্যাস্ট্রোনট প্রেরণের এই পরিকল্পনা মানবজাতির মহাকাশ অভিযানের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি প্রমাণ করে যে প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা এখন পর্যন্ত অসম্ভব মনে করা লক্ষ্যগুলোও অর্জন করতে সক্ষম।
জেনে রাখুন-
মঙ্গল গ্রহে AI অ্যাস্ট্রোনট পাঠানোর উদ্দেশ্য কী?
মানব অভিযাত্রীদের আগে বসবাসের পরিবেশ তৈরি করা। ঝুঁকি হ্রাস করা এবং মিশন ব্যয় কমানো।
AI অ্যাস্ট্রোনটরা কি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে?
হ্যাঁ, তারা পৃথিবী থেকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
মঙ্গল মিশনে AI ব্যবহার কতটা নিরাপদ?
নাসার মতে, ব্যাপক পরীক্ষার পরই AI অ্যাস্ট্রোনট ব্যবহার করা হবে। এটি পুরোপুরি নিরাপদ করার চেষ্টা চলছে।
মানুষ কবে নাগাদ মঙ্গলে পৌঁছাতে পারবে?
২০৩০-এর দশকের মধ্যে মানুষ মঙ্গলে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হয়। AI অ্যাস্ট্রোনট তার আগেই প্রেরণ করা হবে।
মঙ্গল মিশনে AI-এর ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
AI মঙ্গল মিশনের সাফল্যের জন্য অপরিহার্য। এটি স্বায়ত্তশাসিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনা সম্ভব করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।