ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ভাসানচর ইউনিয়নের মুন্সিগ্রামে চাঞ্চল্যকর এক হত্যাচেষ্টা ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। বারান্দায় কবর খুঁড়ে জামাইকে হত্যাচেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী, শাশুড়ি ও দাদিশাশুড়ির বিরুদ্ধে। ওই ব্যক্তির দেওয়া ১১ লাখ টাকা আত্মসাতের জন্য এই হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্য ছিল বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী ঠান্ডু বেপারী (৩৫) সদরপুর উপজেলার ভাসানচর ইউনিয়নের ছলেনামা গ্রামের মিয়াচান বেপারীর ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি ওয়ার্কশপ ব্যবসা পরিচালনা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রাতে ঠান্ডু বেপারীকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। রাত দেড়টার দিকে তার স্ত্রী লাবনী আক্তার (২৮), শাশুড়ি শহিদা বেগম ও দাদিশাশুড়ি জনকী বেগম কাস্তে দিয়ে তাকে হত্যা চেষ্টা চালান। এর আগে পাশের ঘরের বারান্দায় একটি কবর খুঁড়ে রাখে তারা।
তবে দড়ি বাঁধা থাকায় গলা পুরোপুরি কাটেনি বলে বেঁচে যান ঠান্ডু বেপারি। তিনি জেগে ওঠে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। এরপর তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায়। তিনি জানান, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা। টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এই হত্যাচেষ্টা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় লোকজন এমন নির্মম ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।