দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ফিলিস্তিনের গাজায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে চুক্তির অংশ হিসেবে নিজেদের হাতে জিম্মি সব ইসরায়েলিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এবার তার বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদেরও মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইসরায়েল।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি থাকা ফিলিস্তিনিদের বড় একটি দল নিয়ে পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহর ও গাজা উপত্যকায় পৌঁছেছে একাধিক বাস। খবর আল-জাজিরার।
তবে এখন পর্যন্ত কতজন ফিলিস্তিনি মুক্তি পেয়েছেন, তা জানা যায়নি। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে গাজা থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে শুরু করে হামাস। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, জীবিত সব জিম্মিকে ইতোমধ্যে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বিনিময়ে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।
মুক্তি পাওয়া বন্দিদের স্বাগত জানাতে পরিবারগুলো জড়ো হয়েছে গাজার রামাল্লায়। তবে, তাদের মধ্যে আগের মতো উৎসবের আমেজের বদলে এবার দেখা যাচ্ছে বিভ্রান্তি ও অনিশ্চয়তা। কারণ ইসরায়েল স্পষ্ট করেছে যে, তারা আগের জিম্মি বিনিময় চুক্তিগুলোর সময়কার মতো উল্লাসপূর্ণ দৃশ্য এড়াতে চায়। এর আগে, হামাসের পতাকা নাড়িয়ে বন্দিদের স্বাগত জানিয়েছিল বিপুল সংখ্যাক ফিলিস্তিনি।
রামাল্লায় ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে বেইতুনিয়া সীমান্তপথ সম্পূর্ণ ফাঁকা ছিল। ফিলিস্তিনি বন্দিদের পরিবারগুলোকে রামাল্লার কেন্দ্রস্থলের একটি জায়গায় জড়ো করা হয়েছে। অনেকে জানিয়েছেন, তাদের বলা হয়েছে যেন তারা পতাকা না নাড়ান, মিষ্টি বিতরণ না করেন, এমনকি অতিথিদের জন্য চেয়ারও না রাখেন।
এখনকার পরিবেশটি আর উৎসবের নয়, বরং বিভ্রান্তিতে ভরা। পরিবারগুলোর অভিযোগ, এই চুক্তি এত দ্রুত সম্পন্ন হওয়ায় মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের তালিকা রাতভর একাধিকবার পরিবর্তন হয়েছে।
সকালে অপেক্ষমাণ অনেকেই জেনেছেন, তাদের আত্মীয়দের কেউ কেউ নিজ দেশে ফিরতে পারবেন না। কারণ, তাদের অনেককেই বহিষ্কার করা হবে।
এদিকে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের আশা জাগলেও গাজায় দানা বাঁধতে শুরু করেছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। প্রভাবশালী দুগমুশ গোত্রের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী এক সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে হামাসের। এতে এখন পর্যন্ত এক ফিলিস্তিনি সাংবাদিকসহ অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১১ অক্টোবর) থেকে হামাস ও দুগমুশ গোত্রের মধ্যে শুরু হওয়া এই নজিরবিহীন অভ্যন্তরীণ সংঘাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় নতুন করে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।