৫ বছরেও পাসপোর্ট পাননি সিলেটের মজিবুর রহমান। ২০২১ সালে পাসপোর্টের জন্য নারায়ণগঞ্জে আবেদন করেন। ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে সেই পাসপোর্ট অফিস পুড়িয়ে দিলে মজিবুর ঘুরতে থাকেন আগারগাঁও। এই সময়ে সিলেট থেকে ৪১ বার নারায়ণগঞ্জ ও আগারগাঁও এসেছেন। তার হিসাব মতে, পাসপোর্ট বাবদ দুই লাখ টাকার বেশি খরচ করেছেন মজিবুর।

সিলেটের মজিবুর রহমান পেশায় সিএনজি চালক। ৫ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ ও আগারগাঁওয়ে ঘুরছেন পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য। ২০০৪ সালে প্রথম পাসপোর্ট করেন তিনি। ১০ বছর পর করেন মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট, যার মেয়াদ শেষ হয় ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর।
মজিবুর রহমান বলেন, ‘২০০৪ সালে পাসপোর্ট করেছিলাম, হাতে লেখা পাসপোর্ট। পরে হলো ডিজিটাল পাসপোর্ট। এটা করেছি ২০১৪ সালে। ২০১৯ সালে এটার মেয়াদ শেষ হয়েছে।’
এরপর পড়েন দালালের খপ্পরে। ২০২১ সালে আবেদন করেন নারায়ণগঞ্জ থেকে। যা পাওয়ার কথা ছিল ১১ দিন পর। কিন্তু এনআইডি কার্ড ও আগের পাসপোর্টের নামে অমিল থাকায় পাসপোর্ট পাননি মজিবুর। সেখানে আবারও আবেদন করেন।
মজিবুর রহমান বলেন, ‘ওরা বলেছে হয়ে গেছে আপনার। ১৫ দিন পর এসে পাসপোর্ট নিতে বলেছে। আমি ১৮ দিন পরে এসেছি। তখন আমাকে বলেছে, পাসপোর্ট হয়নি। আমি জানতে চাইলাম, কী করতে হবে। বললো, আবারও আবেদন দেন।’
দুই বছর অপেক্ষার পর ২০২৩ সালে নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করেন। কিন্তু পাসপোর্টের হদিস মেলেনি।
মজিবুর রহমান বলেন, ‘২০২৩ সালে প্রথম যোগাযোগ করি, এর পরেও হয়নি। পরে ২০২৪ সালে আবার আসি, আন্দোলনের পরে।’
২০২৪ সালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পুড়িয়ে দেওয়া হয় নারায়ণগঞ্জের পাসপোর্ট অফিস। তারপর থেকে মজিবুর ঘুরছেন আগারগাঁও অফিসে।
এ নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি সংশ্লিষ্ট কেউ। তবে তারা আশ্বাস দেন, দু-এক দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাবেন মজিবুর।
সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



