জুমবাংলা ডেস্ক : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মসজিদের ইমামের হাতে প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া ৭ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে শিশুটিকে একা পেয়ে মসজিদের সঙ্গে থাকা ইমামের কক্ষে নিয়ে শিশুটির চোখ-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। শিশুটি গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে আমতলী ইউপির ছোট দক্ষিণপাড় গ্রামের বাইতুন নুর জামে মসজিদের ইমাম মানসুর হাওলাদার শিশুটিকে মসজিদের সঙ্গে তার রুমে ১টি বালতি রেখে আসতে বলে। এ সময় শিশুটিকে একা পেয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে শিশুটির মুখ, চোখ ও হাত বেধে ধর্ষণ করে। এতে শিশুটি ঘটনাস্থলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ধর্ষক মানসুর ঘটনাটি কাউকে না বলতে নিষেধ করে শিশুটিকে শাসিয়ে দেয়। আর ঘটনাটি প্রকাশ করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের কাছে ধর্ষণের ঘটনা জানায়।
ঘটনার পর থেকে ধর্ষক মানসুর হাওলাদার (২২) নামের ওই ইমাম পলাতক রয়েছে। অভিযুক্ত ধর্ষক মানসুর প্বার্শবর্তী উনশিয়া গ্রামের জামাল হাওলাদারের ছেলে এবং কুরপালা মাদ্রাসার মাওলানা বিভাগের মিশকাত শ্রেণির ছাত্র। গত রোজার ঈদের পর থেকে এখানে মসজিদে নামাজ পড়াচ্ছে।
শনিবার শিশুটির বাবা বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে।
শিশুটির বাবা জানায়, তিনি ঢাকায় ছিলেন। তার মেয়ের খবর পেয়ে তিনি গ্রামের বাড়িতে যান। গ্রাম্য লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি প্রথমে গোপন রাখা হয়। পরবর্তীতে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার দুপুরে মেয়েকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি হুজুর মানসুরের বিচার ও শাস্তির দাবি জানান।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ আলম জানান, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অপরাধীকে ধরার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।