বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : সূর্যের মতো এক নক্ষত্রকে কৃষ্ণগহ্বরে মিলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করলেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, পৃথিবীর চেয়ে তিনগুণ বড় ওই নক্ষত্রকে বিশাল কৃষ্ণগহ্বর (ব্ল্যাকহোল)- খেয়ে ফেলছে। আমাদের সৌরজগত থেকে ৫২ কোটি আলোকবর্ষ দূরের এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন এই আবিষ্কারে বিশাল মহাকাশের অনেক নতুন রহস্যের সমাধান মিলতে পারে, মহাকাশে থাকা বস্তুগুলো পারস্পরিক ধ্বংসাত্মক সম্পর্ক নিয়ে ধারণা পাওয়া যেতে পারে।
ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধে বিজ্ঞানীরা বলেন, কৃষ্ঠগহ্বর বিশাল আকারের বস্তু। প্রায় প্রত্যেক গ্যালাক্সির কেন্দ্রেই এমন বস্তু থাকে। যখন এর ভেতরে কেনো বড় নক্ষত্রের মৃত্যু হয় তখন এটি আরও বড় হয়ে যায়। এর পরিধির মাঝে থাকা যেকোনো বস্তুকে নিজের দিকে টানতে থাকে গহ্বরগুলো। এই টান থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না আলোও।
পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের কৃষ্ণগহ্বরের নাম স্যাগিটারিয়াস এ। মিল্কি ওয়ে গ্যালক্সির একদম মধ্যভাগে এর অবস্থান। আমাদের সূর্যের চেয়ে ৪০ লাখ গুণ বড় এই কৃষ্ণগহ্বর।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিশাল এক কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ পেয়েছেন। একটি নক্ষত্রকে গিলে খাচ্ছে এটি। ওই নক্ষত্রের দূরত্ব পৃথিবী থেকে ৫২ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
এক আলোকবর্ষ বলতে বোঝায়, আলো এক বছরে যতটুকু দূরত্ব অতিক্রম করে। সংখ্যার হিসেবে তা ৯ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার।
সম্প্রতি একটি ছোট কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আমাদের পৃথিবী থেকে হয়তো এর ভর কয়েক হাজার গুণ বেশি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোনও মহাজাগতিক বস্তু যদি কৃষ্ণগহ্বরে ঢুকে পড়ে তবে এর তাপমাত্রা ৩৬ লাখ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।