জুমবাংলা ডেস্ক : ‘আওয়ামী লীগের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সংস্কার শেষ হওয়ার আগে কোনো নির্বাচন হবে না’ বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন তার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, এধরনের কথা বলা ক্ষমতাকে (অনির্বাচিত সরকার) দীর্ঘস্থায়ী করার অপপ্রয়াস। স্বৈরাচারীর ভূত কাঁধে ভর করলেই এমন কথা বলা যায়।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এক সমাবেশ থেকে ছাত্র-নেতাদের বক্তব্য আসার পর ঢাকা টাইমসের কাছে এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন মির্জা আব্বাস।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বিচারের সঙ্গে নির্বাচন ও রাজনীতির সম্পর্ক নেই। বিচারিক প্রক্রিয়া দীর্ঘ হতে পারে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। ইতিহাসে দেখা গেছে কোনো কোনো মামলা পাঁচ বছর থেকে ২০ বছর পর্যন্ত চলমান থাকে।
তিনি বলেন, আমি ছাত্রদের মুখে এধরনের কথা আমি আশা করি না। এ সমস্ত কথা বলবে স্বৈরাচারীরা।
মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব হলো প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন আগামী বছরের ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর নির্বাচন নিয়ে আর কারও কথা বলার সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।
ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম
নির্বাচনকে বিলম্ব করে- এমন কোনো কথা না বলতে আহ্বান জানান মির্জা আব্বাস। বলেন, এধরনের কথা বলা ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার অপপ্রয়াস বলে আমরা মনে করি। পাশাপাশি আমরা মনে করি এধরনের কথা বলা মানে স্বৈরাচারীর ভূত কাঁধে ভর করা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।