আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাপানে বেড়েছে বৈদ্যুতিক স্যুটকেসের জনপ্রিয়তা। বাইসাইকেলের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করেন অনেকে। এ ধরনের স্যুটকেসের সুবিধা হলো- প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নেওয়ার পাশাপাশি এতে চড়ে কিছুটা দূরত্বও পার হওয়া যায়। স্থানীয়দের পাশাপাশি জাপানে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরাও চলন্ত স্যুটকেসে চড়ার অভিজ্ঞতা নেন। তবে এ বিষয়ে এবার কড়া অবস্থানে দেশটির কর্তৃপক্ষ। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
মোটরচালিত এই বৈদ্যুতিক স্যুটকেসগুলো অনেকটা শিশুদের স্কুটারের মতো। চলে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে। জাপান সম্প্রতি এই বৈদ্যুতিক স্যুটকেসকে মোটরচালিত গাড়ির শ্রেণিভুক্ত করেছে। ফলে সেখানকার রাস্তায় এগুলো চালাতে হলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা উপকরণ সঙ্গে রাখতে হবে।
গত জুনে এক চীনা নারীকে ওসাকার রাস্তায় স্যুটকেস চালানোর অপরাধে সাজা দেওয়া হয়। জাপানের ট্রাফিক আইন অনুযায়ী, ওই নারী যে স্যুটকেস চালাচ্ছিলেন, সেটি ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। স্যুটকেসটি মোটরচালিত বাইসাইকেল শ্রেণিতে পড়ে। আইন অনুসারে, এ ধরনের সহজে বহনযোগ্য লাগেজ চালাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন।
সম্প্রতি জাপানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ভ্রমণকারীদের সতর্ক করে জানিয়েছে, বিমানবন্দরের মধ্যে এ ধরনের মোটরচালিত স্যুটকেসে চড়ে ঘোরা যাবে না। দেশটির পুলিশ কর্তৃপক্ষ স্থানীয় স্যুটকেস বিক্রেতাদের নির্দেশ দিয়েছে, এ ধরনের স্যুটকেস বিক্রির আগে ক্রেতাদের জাপানের কঠোর আইন বিষয়ে সতর্ক করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।