বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : নিছক একটা গ্রহাণু নয়, এরা ‘মহাজাগতিক যাযাবর’। নির্দিষ্ট কোনও পরিক্রমণ পথ নেই, কোনও গ্রহ বা উপগ্রহের প্রতি কোনও ‘টানও’ নেই। কিন্তু দৈবগতিকে কোনও কিছুর ওপর আছড়ে পড়লে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ। প্রায় একটা বোয়িং জেটের মাপের এমনই এক গ্রহাণু গতকাল প্রায় পৃথিবীর কান ঘেঁষে চলে যায়।
বুধবার ২০২৩ এসএন-সিক্স নামের গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে মাত্র ৪৮ লক্ষ কিলোমিটার দূর দিয়ে চলে যায় বলে জানিয়েছেন ইউএস মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির বিজ্ঞানীরা। আপাতদৃষ্টিতে ৪৮ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্বটি যথেষ্ট বেশি বলে মনে হলেও মহাকাশবিজ্ঞানের জগতে এটা কোনও দূরত্বই নয়।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই গ্রহাণুটি ঘণ্টায় ৩০ হাজার ৫৬৪ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীকে পাশ কাটিয়ে যায়। নাসার সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ অবশ্য এই গ্রহাণুকে ‘পৃথিবীর পক্ষে বিপজ্জনক’ তকমা দেননি। সেন্টার জানিয়েছে এই গ্রহাণুটি অ্যাপোলো গ্রুপ অফ নিয়ার আর্থ অবজেক্টের অন্যতম সদস্য।
সৌরজগৎ তৈরি হওয়ার সময় থেকেই মহাকাশের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরতে থাকে ছোট-বড় নানা মাপের পাথরের টুকরো। তাদেরই কেউ কেউ ২০২৩ এসএন-সিক্সের মতো বিভিন্ন গ্রহের কাছে এসে পড়ে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এরা গ্রহর পাশ দিয়ে চলে যায়। কখনও কোনও গ্রহে আছড়ে পড়লে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে।
মহাকাশে এমনই ‘বেওয়ারিশ’ কিছু গ্রহের সন্ধান পেল জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপও। এই গ্রহগুলো মাপে সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতির মতোই বড়। ওরিয়ন নেবুলায় এমন প্রায় ৮০টি গ্রহের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন নাসার মহাকাশবিজ্ঞানীরা। ওরিয়ন নেবুলা পৃথিবী থেকে প্রায় ১৩৪৪ আলোকবর্ষ দূরে।
নাসা জানিয়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপকে ওই দিকে তাক করে তারা যে গ্রহগুলোর দেখা পেয়েছেন, তারা জোড়ায় জোড়ায় রয়েছে। এমন মোট ৪০ জোড়া গ্রহের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এদের নাম দেয়া হয়েছে জুপিটার মাস বাইনারি অবজেক্টস বা জাম্বো। মহাকাশবিজ্ঞানীদের অনুমান নেবুলায় নক্ষত্র সৃষ্টির সময়ে এই গ্রহের মতো বস্তুগুলো তৈরি হয়েছিল, পরে এরা কোনও ভাবে মহাকাশে নিক্ষিপ্ত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।