আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঘাসের সন্ধানে বিভিন্ন এলাকার খেত চষে বেড়াচ্ছিল ভেড়ার পাল। একপর্যায়ে তারা না বুঝেই হামলে পড়ে গাঁজার খেতে। প্রায় ২৭২ কেজি গাঁজা খেয়ে টালমাটাল হয়ে পড়ে ভেড়াগুলো। ঘটনাটি ঘটেছে ইউরোপের দেশ গ্রিসের থেসালিতে।
নিউইয়র্কভিত্তিক সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘নিউজউইক’ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাবানল ও ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত হয়েছে গ্রিস। বিনষ্ট হয়েছে বিশাল এলাকার কৃষিজমি। দেখা দিয়েছে গবাদিপশুর খাদ্যসংকট। এমন পরিস্থিতিতে ঘাসের সন্ধানে বিভিন্ন এলাকার খেত চষে বেড়াচ্ছে গবাদিপশুর পাল।
গ্রিসের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঘাস খুঁজতে গিয়ে গাঁজাখেতের বিরাট অংশ খেয়ে ফেলেছে ভেড়ার পালটি। এরপর শুরু করে অদ্ভুত আচরণ। এসব গাঁজা গ্রিনহাউসের ভেতরে ওষুধ হিসেবে চাষ করা হয়েছিল।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গ্রিসের থেসালিতে বন্যার পানিতে প্লাবিত এলাকায় ভেড়ার পাল চষে বেড়াচ্ছিল। এরপর এগুলো অলমিরোস শহরের কাছে গ্রিনহাউসে ঢুকে পড়ে। ভেড়ার পালটি সেখানকার অন্তত ১০০ কেজি গাঁজা খেয়ে ফেলেছে।
খেতের মালিক বলেন, ‘আমি হাসব নাকি কাঁদব—আসলেই জানি না। এমনিতে দাবদাহ ও বন্যার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরপর যা অবশিষ্ট ছিল তা ভেড়ার পাল ঢুকে সব খেয়ে ফেলেছে। এখন আমি বুঝতে পারছি না আসলেই আমার কী বলা উচিত।’
একজন জানান, হঠাৎ ভেড়ার পালটি অদ্ভুত আচরণ শুরু করে। প্রথমে তারা এর কারণ বুঝতে পারেননি। পরে অবশ্য গাঁজার খেত খেয়ে ফেলায় বিষয়টি সামনে আসে।
গ্রিসে ২০১৭ সাল থেকে গাঁজা ওষুধ তৈরির উদ্দেশ্যে চাষাবাদ করা বৈধ। তবে ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো ঔষধি গাঁজার খেত উদ্বোধন করে। গ্রিসে চিকিৎসার জন্য গাঁজার চাষ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলেও সংবাদে জানানো হয়েছে।
এদিকে ১৯৩৬ সালে গ্রিসে গাঁজা নিষিদ্ধ হওয়ার আগে চাষাবাদ ও রপ্তানি করা হতো। ব্রিটেন, জার্মানি, ইতালি, ডেনমার্কসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যেই ঔষধি স্বার্থে গাঁজা চাষের অনুমতি দিয়েছে। উরুগুয়ের পর বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে কানাডা ৯০ বছরের নিষেধাজ্ঞার অবসান ঘটিয়ে গাঁজাকে সম্পূর্ণরূপে বৈধ করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।