আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : হিমসাগর, চৌষা, দশেরী, ল্যাংড়া, আলফানসো বিদেশে রপ্তানি হয়। ভারতের এই আমগুলিরখ্যাতি জগৎজোড়া। যদিও তারা কেউ ‘মিয়াজাকি’ নয়। অবাক হচ্ছেন? তাহলে জেনে রাখুন, আপনি যদি আমভক্ত হন, অথচ এখনও পর্যন্ত মিয়াজাকি চেখে দেখেননি, তবে আপনার ‘আমআদমি’ হওয়া বৃথা। কারণ এটিই বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম।তার যেমন স্বাদ, তেমন অপূর্ব রূপ। একটি আমের দাম ১৯ হাজার টাকা অবধি হতে পারে।
মিয়াজাকি উৎপাদন হয় জাপানে। বিষয়টা রীতিমতো কঠিন। শীতপ্রধান জাপানে গ্রীষ্মকালীন ফল আমের চাষ সোজা কথা ছিল না। অসাধ্য সাধনে প্রাকৃতিক উপায়ে একটি ‘গ্রিনহাউজ’ তৈরি করেছিলেন দুনিয়াখ্যাত আমচাষি নাকাগাওয়া। জাপানের উত্তরভাগের তুষারাবৃত তোকাচি অঞ্চলে ২০১১ সাল থেকে গ্রিনহাউজের ভেতরে আম উৎপাদন করছেন তিনি। ওই গ্রিনহাউজের বাইরে তাপমাত্রা যখন হাড় কাঁপানো -৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও কম, ভেতরে তখন ভারতীয়দের চেনা গ্রীষ্মকাল, তাপমাত্রা গড়ে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নাকাগাওয়ার আমবাগানের একটি মিয়াজাকি আমের দাম ২৩০ ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মূদ্রায় ১৯ হাজার টাকা। নাকাগাওয়া জানান, এককালে তেলের ব্যবসা ছিল তাঁর। এক সুহৃদ পরামর্শ দেন, আমের ব্যবসা করলে লাভ হবে বেশি। বাস্তবে তাই ঘটেছে।
ভাল মূল্য দিয়ে লাল টকটকে মিয়াজাকি কিনতে রাজি অনেকেই। বর্তমানে বছরে ৫ হাজার আম উৎপাদিত হয় নাকাগাওয়া গ্রিনহাউজে। বোঝাই যাচ্ছে লাভ কেমন হয়ে থাকে। উল্লেখ্য, সবখানে যখন গরমকালে আম হয়, নাকাগাওয়ার বাগানে তখন শীতকালে ফলন হয়।
ফলে চাহিদাও থাকে বেশি। নাকাগাওয়ার দাবি, তার আমের স্বাদ অন্য যে কোনও আমের চেয়ে ভাল। কষ্টের ফলন বলে কথা। আর রূপ যাকে বলে মনোমুগ্ধকর। বিশ্বের সবচেয়ে দামি আমকে ভালবাসে ডাকনামও দিয়েছেন জাপানিরা। মিয়াজাকির আদরের নাম ‘সূর্য কিরণের ডিম’।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।