আ.লীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস, থানায় মামলা

জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী হেদায়েতুল্লাহ সাকলাইনের একটি আপত্তিকর ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করায় ভাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার (১২ আগস্ট) কাজী সাকলাইন (৭৩) বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- ভাঙ্গা উপজেলার শেখপুরা গ্রামের যুবলীগ নেতা আরাফাত শেখ (৪৩), সদরপুর উপজেলার চর আড়িয়াল খাঁ গ্রামের কামরুল মাতুব্বর (৩৮), কামাল মাতুব্বর (৩২), বিপ্লব মাতুব্বর (২৬), চরপাল্লা গ্রামের তরিকুল ইসলাম শুভ (২৫), নেওয়াজখার কান্দি গ্রামের সালাউদ্দিন খাঁন তানভির (৩৭), দোপপাশা গ্রামের সানি রহমান (২৫), কামারকান্দা গ্রামের কিবরিয়া মুন্সী (২৮)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাজী হেদায়েতুল্লাহ সাকলাইন দেখতে পান মামলার আসামিদের ব্যক্তিগত আইডিতে সুপার এডিট করা একটি আপত্তিকর ছবি পোস্ট করা হয়েছে। পোস্ট করা ভিডিওতেকাজী হেদায়েতুল্লাহ সাকলাইন এবং অজ্ঞাত এক নারীর দেখা যায়। আসামিরা ভিডিও টি তাদের ফেসবুকে পোস্ট করার পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। মামলার বাদীর ধারণা, সামাজিকভাবে হেয় পতিপন্ন করার জন্য উল্লেখিত আসামিরা ছাড়াও আরও ৪ থেকে ৫ জন তাহাদের ফেসবুক আইডিতে এই ভিডিওটি পোস্ট করেন।

কাজী হেদায়েত উল্লাহ বলেন, ফেসবুকে প্রচার করা ভিডিওটি সম্পাদনা করা। তিনি আরাফাতের ফেসবুকে প্রথম সেটি দেখেন। তিনি বলেন, তিন মাস আগে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়ে ভিডিওটি না ছড়ানোর জন্য টাকা দাবি করেন। সেদিনই ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ ফোন করে বিষয়টি জানালে ওসি তাঁকে ধৈর্য ধরতে বলেন। এ জন্য তখন আইনি পদক্ষেপ নেননি। এখন বিষয়টি ফেসবুকে চলে আসায় তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন।

এ ঘটনায় ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুর রহমান মিরন হাওলাদার বলেন, একজন সম্মানিত ব্যক্তির সম্মানহানি করা নিন্দনীয়। থানায় মামলা হয়েছে তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করছি।

ভাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচ জনের নামে ভাঙ্গা থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।