সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : যে লাঙ্গল স্বৈরাচারের প্রতীক ছিল, যেই লাঙ্গল আমার রাউফল, বসুনিয়ারে কাইরা নিছে, সেলিম-দেলোয়ারের রক্তে হলি খেলছে। যেই লাঙ্গল আমার বঙ্গবন্ধুর রানার রক্তে হলি খেলেছে। এই দেশের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর রক্ত নিয়ে হলি খেলছে। সেই লাঙ্গলের সাপোর্ট আওয়ামী লীগের কেউ কইরেন না। লাঙ্গণের সাপোর্ট যারাই করবে তারা কেউ আওয়ামী লীগের না, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের না, শেখ হাসিনার কর্মী না বলে মন্তব্য করেছেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ।
গত সোমবার প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর নিজ জন্মস্থান জেলার দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া এলাকায় প্রচারণার সময় এ কথা বলেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গত ১৮ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগসহ নির্বাচনে অংশ নেওয়া সকল রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোটের শরীকদের সঙ্গে আসন সমঝোতার পর পর মানিকগঞ্জ-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস সালাম নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়ান। এই আসনে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনিত প্রার্থী জাহিরুল আলম রুবেল দলীয় প্রতীক লাঙ্গল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মোনায়েম খান দলীয় প্রতীক নোঙ্গর, গণফ্রন্টের মোহাম্মদ শাহজাহান খান দলীয় প্রতীক মাছ এবং ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর নিজ জন্মস্থান জেলার দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া এলাকায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের মধ্যে দিয়ে নির্বাচনি প্রচারণার শুরু করেন এই স্বতন্ত্র প্রার্থী।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ঢাকা শহরের সুখ-সাচ্ছন্দ ছেড়ে আজ ১২ টি বছর আপনাদের কাছে ছুড়ে বেড়িয়েছি। শুরু মাত্র আমার চরের অবহেলিত মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য। যমুনার কলার গ্রাসে আমার বাড়িও চার বার নদীতে ভেঙে গেছে। এই নদীর করাল গ্রাসে যখন মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে যায়, আমি তাদের দুঃখ-কষ্ট, বেদনা বুঝি। আমার চরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য জীবনের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত কাজ করে যাবো। আমি আপনাদের সমর্থন চাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ৪৮ বছর আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক জীবন। এই আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নিতে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করার জন্য সেই ১৭ বছর বয়সে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলাম। তিন বার গুলিবিদ্ধ হয়েছি, কিন্তু আদর্শ থেকে বিচ্যুত হই নাই। আমি জানি অপেক্ষার ফল সব সময় ভালো ও সুমুধর হয়। অপেক্ষায় ছিলাম, এর আগে দুইবার দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম, আমাকে দেওয়া হয় নাই। আওয়ামী লীগ যাকেই মনোনয়ন দিয়েছে, আমি তার নির্বাচন করেছি।
তিনি আরও বলেন, এবার আমার নেত্রী শেখ হাসিনা একটা সুযোগ করে দিয়েছেন, মনোনয়ন বঞ্চিতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে পারবে। আমি শেখ হাসিনার মনোনিত প্রার্থী, মুক্তিযুদ্ধে ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী। আমার প্রতীক ঈগল। ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনে আপনারা আমাকে ঈগল প্রতীকে ভোট দিবেন এবং আমাকে এমপি বানাবেন, চরের ছেলে হিসেবে আমি এটা বিশ্বাস করি।
প্রসঙ্গত, মানিকগঞ্জের তিনটি সংসদীয় আসনে যাচাই-বাছাই শেষ ২০ জন বৈধ প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে মানিকগঞ্জ-১ আসনে চার জন, মানিকগঞ্জ-২ আসনে ১০ জন এবং মানিকগঞ্জ-৩ আসনে ছয়জন। তবে মানিকগঞ্জ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম এবং মানিকগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।