জুমবাংলা ডেস্ক : আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ঘটে যাওয়া নিখোঁজ ও গুমের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এ বিষয়ে একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবদনের প্রেক্ষিতে স্বঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে কমিশন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
মানবাধিকার কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ ও গুমের শিকার প্রত্যেকের বর্তমান অবস্থান নিশ্চিত করে জড়িতদের উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশনা দিয়েছে।
সুয়োমটোতে উল্লেখ রয়েছে, আইনের আশ্রয়লাভ সাংবিধানিক অধিকার এবং কেউ অপরাধ করলে প্রচলিত আইনে তার বিচার হবে। কিন্তু গ্রেপ্তার না দেখিয়ে বিগত বছরগুলোতে যারা নিখোঁজ ও গুমের শিকার হয়েছেন তাদের অনেকের খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি। বিচার ছাড়া মানুষকে আটক রেখে নির্যাতন করার চিত্রটি মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে নিখোঁজ হওয়াদের সন্ধান চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন স্বজনরা।
এ সময় শতাধিক নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। ‘আয়নাঘর, খুলে দাও খুলে দাও’, ‘মুক্তি চাই মুক্তি চাই, গুম স্বজনদের মুক্তি চাই’, ‘আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে মানতে হবে’ বলে স্লোগান দেন তারা।
তেজগাঁও থানা যুবদলের নেতা বশির উদ্দীন হাওলাদার ২০১১ সালের ১৪ জুন রাজধানীর গুলিস্তান থেকে নিখোঁজ হন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। তার স্ত্রী হোসনে আরা ও সন্তানরা যমুনার সামনে তাকে ফিরে পাওয়ার দাবি জানান। এমন অনেক গুম ও নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনরা নতুন সরকারের কাছে নিখোঁজদের সন্ধান চেয়ে আবেদন জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।