আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। গত ২ মাসের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। এতে অন্যান্য মুদ্রা চাঙা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বুধবার (১২ জুলাই) কার্যদিবসের শেষ ভাগে মূল্যস্ফীতির উপাত্ত প্রকাশ করবে যুক্তরাষ্ট্র। ধারণা করা হচ্ছে, গত জুনে বার্ষিক ভিত্তিতে ভোক্তা মূল্য ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে।
এ পরিসংখ্যান মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) পদক্ষেপ সম্পর্কে ব্যবসায়ীদের স্পষ্ট ধারণা দেবে। ফলে আপাতত নিরাপদ আশ্রয়ে বিনিয়োগ কমিয়েছেন তারা। এতে ডলারের মান ব্যাপক কমেছে।
এ প্রেক্ষাপটে ইউরোর দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ০৭ শতাংশ। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মুদ্রাটির মূল্য নিষ্পত্তি হয়েছে ১ ডলার ১০১৮ সেন্টে। বিগত ২ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
পাউন্ডের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। ব্রিটিশ মুদ্রাটির দর স্থির হয়েছে ১ ডলার ২৯৪০ সেন্টে। গত ১৫ মাসের মধ্যে তা সবচেয়ে বেশি। জাপানি মুদ্রা ব্যাপক শক্তিশালী হয়েছে। প্রতি গ্রিনব্যাকের মূল্যমান দাঁড়িয়েছে ১৪০ ইয়েনে। গত ১ মাসের মধ্যে যা সর্বাধিক।
নিউজিল্যান্ডের মুদ্রার দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৩৪ শতাংশ। ১ কিউই কারেন্সির দর হয়েছে শূন্য দশমিক ৬২১৯ ডলার। অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রা ঊর্ধ্বগামী হয়েছে শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ। প্রতি অসি কারেন্সির দাম দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৬৭১৩ ডলারে।
সিটি ইনডেক্সের জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক ম্যাট সিম্পসন বলেন, ইতোমধ্যে নরম মার্কিন মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের প্রত্যাশায় বাজারের নড়চড় দেখতে পাচ্ছি আমরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।