আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তার নাম তুকারাম ভাগোজি গয়াকার। ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনের বাসিন্দা। তিনি এ বছর ১২ একর জমিতে টমেটো চাষ করেন। পুত্র এবং পুত্রবধূর সহায়তায় দিন রাত পরিশ্রম করেন তিনি। এই কৃষকের ভাগ্য নতুন মোড় নিয়েছে জুলাই মাসে। রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেছেন তিনি।
জুলাইয়ে টমেটোর দাম হু হু করে বেড়ে যায়। ভারতের নানা প্রান্তে টমেটোর দামের আঁচ লেগেছে আমজনতার পকেটে। কিন্তু কারও সর্বনাশ কারও জন্য পৌষ মাস হয়ে দেখা দেয়। টমেটোর দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় কপাল খুলে যায় তুকারামের। টমেটো বিক্রি করে গত এক মাসে তার দেড় কোটি রুপি আয় হয়েছে।
তুকারাম জানান, তিনি গত এক মাসে ১৩ হাজার বাক্স টমেটো বিক্রি করেছেন। চড়া দামে বাজারে বিক্রি হয়েছে সেই টমেটো। তা থেকেই কপাল খুলে যায় তুকারামের।
তার দাবি, তিনি প্রতি বছর নিজের ক্ষেতে অত্যন্ত ভাল মানের টমেটা ফলান। কীভাবে ক্ষেতের টমেটো পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করা যায়, তা-ও ভাল করে জানেন। সেই কারণেই সফল হয়েছে তার ব্যবসা।
তুকারাম জানান, টমেটো বিক্রি করে শুধু শুক্রবারই ১৮ লাখ টাকা রোজগার করতে পেরেছেন তিনি। একদিনে বিক্রি হয়েছে ৯০০ বাক্স টমেটো। প্রতি বাক্সের দাম ২১০০ রুপি।
এদিকে, ভারতের বাজারে টমেটোর দাম কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং দিন দিন দাম আরও বাড়ছে। দেশটির অনেক শহরেই প্রতি কেজি টমেটো ২০০ রুপি দরে বিক্রি হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে টমেটোর দাম ৩০০ রুপি ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে টমেটোর বাজারে হস্তক্ষেপ করছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। দিল্লি, এনসিআর, পাটনা, লখনউ-সহ কয়েকটি বড় শহরে ভর্তুকি দিয়ে টমেটো বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে এক কেজি টমেটোর দাম হবে ৯০ রুপি। তবে এই দামে গ্রাহকেরা একবারে ২ কেজির বেশি টমেটো কিনতে পারবেন না। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।