বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে আসা বিরল ও অত্যধিক উচ্চ–শক্তিসম্পন্ন কণা শনাক্ত করেছেন জ্যোতির্বিদেরা। তবে মহাকাশের ঠিক কোন জায়গা থেকে এসব কণা আসছে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না তারা। এমনকি এসব কণার কারণে পৃথিবীতে কোনো বাড়তি শক্তির উদ্ভব হবে কিনা, সেটিও আপাতত অজানা। তবে বিজ্ঞানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্পেস ডটকম বলছে, এর মাধ্যমে মহাজাগতিক কণা নিয়ে বিস্তর গবেষণার পথ খুলে গেল।
উচ্চ–শক্তিসম্পন্ন এসব কণা খুব একটা দেখা যায় না। এসব কণা রশ্মি আকারে পৃথিবীতে আসছে। জ্যোতির্বিদেরা এর নাম দিয়েছেন ‘আমাতেরাসু’, জাপানি মিথোলজিতে এই শব্দের মানে ‘সূর্যের দেবতা’। মহাকাশ থেকে আসা যেসব রশ্মি এ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা শনাক্ত করেছেন, সেগুলোর মধ্যে অত্যধিক শক্তিসম্পন্ন তালিকায় রাখা হয়েছে এটিকে।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট বলছে, অনেক বড় মহাজাগতিক ঘটনার কারণে এই কণা এসে পড়ছে পৃথিবীতে। সূর্যে বিস্ফোরণ ঘটলে যে ধরনের রশ্মি আসতে পারে, এর চেয়ে বেশি শক্তির রশ্মি এগুলো।
বছরের পর বছর ধরে এমন বিভিন্ন রহস্যময় কণা নিয়ে কাজ করছেন বিজ্ঞানীদের একটি দল। আর তাতে পদার্থবিজ্ঞান নতুন গতি পাচ্ছে। এর আগে ‘হিগস–বোসন’ কণার মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছিল। এই কণাকে ঈশ্বরকণাও বলা হয়ে থাকে। ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী পিটার হিগস ও উপমহাদেশের ভারতীয় বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু এই কণা নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেছিলেন।
এবারের ‘আমাতেরাসু’ কণা নিয়েও বিস্তর গবেষণা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই কণার শক্তি সম্পর্কে একটি বিস্তর ধারণা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, গবেষণাগারে মানুষের পক্ষে সবচেয়ে শক্তিশালী এক্সিলারেটর দিয়ে যে পরিমাণ শক্তি কণা নির্গত করা সম্ভব, এই ‘আমাতেরাসু’ কণার শক্তি এর ১০ লাখ গুন। তবে এই কণা পুরো শক্তি নিয়ে পৃথিবীতে আসছে না। মনে হচ্ছে এর শক্তি হিগস–বোসন কণার মতো।
ওসাকা মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক তোশিহিরো ফুজি বলছেন, এসব শক্তিকণা কোত্থেকে এসেছে, তা জানা যায়নি। কীভাবে এল, তাও জানা নেই। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, এই কণা যেখান থেকেই আসুক না কেন সেই উৎসে ভয়াবহ ও প্রলয়ংকারী কোনো ঘটনাই ঘটেছে বলেই মনে হচ্ছে। তবে এই শক্তিকণা অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে কাজে আসবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।