জুমবাংলা ডেস্ক : রংপুরের পীরগঞ্জে নতুন করে একটি ধাতব খনির অনুসন্ধান কাজ শুরু করেছে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর। ড্রিলিং পদ্ধতিতে খনির অনুসন্ধান কাজ পরিচালনায় বসানো হয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি; শুধু উত্তোলন বাকি।
খনিতে তামা, লোহাসহ অন্যান্য খনিজ সম্পদ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের পরিচালক আলী আকবর। তিনি বলেন, সেটি জানতে ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগবে। এখানে খনিজ সম্পদের অস্তিত্ব পেয়েছি। এটা একটা বিরাট পাওয়া; এটি দেশের অর্থনীতিকে পরিবর্তন করতে পারে।
১৯৬৫ সালে একই ইউনিয়নে ধাতব খনির প্রাথমিক অনুসন্ধান চালানো হয়েছিলো। ১৯৭৪ সালে দিনাজপুরে মধ্যপাড়ায় মূল্যবান গ্রানাইট পাথরের সন্ধান পায় ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর। ১৯৯৪ সাল থেকে প্রতিদিন এই খনি থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন গ্রানাইট পাথর। ১৯৮৫ সালে এই জেলাতেই আবিষ্কৃত হয় বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি। যেখানে মজুদের পরিমাণ ৩৯ কোটি মেট্রিক টন কয়লা। বড় পুকুরিয়া ছাড়াও এই বিভাগে বেশ কয়েকটি কয়লা খনি রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুদ্দোজা মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, খনিটি দেশের অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ হলেও উত্তোলনের ক্ষেত্রে অবশ্যই পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিবেচনায় রাখতে হবে। এই খনি অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। শুধু তাই নয় এখানে কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে।
২০১৯ সালে দিনাজপুরের হাকিমপুরে একটি লোহার খনির সন্ধান পায় বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের। খনিটিতে উন্নত মানের লোহার পাশাপাশি মূল্যবান কপার, নিকেল ও ক্রোমিয়ামেরও উপস্থিতি পাওয়া যায় । যেখানে প্রায় ৫০ কোটি থেকে ৬০ কোটি মেট্রিক টন খনিজ সম্পদ রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।