জুমবাংলা ডেস্ক : নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বিরল প্রজাতির ‘ইয়েলো-বেলাইড সি’ সাপের দেখা মিলেছে।
বুধবার বিকালে উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের কাজীর বাজারের কমলার দীঘি সমুদ্র সৈকতে সাপটি দেখেন স্থানীয়রা। পরে তাসনিম মাহমুদ তানিম নামে এক যুবক এর ছবি তুলেন। রাতে সাপটির বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়।
সাপের ছবিটি পাঠানো হয়েছিল উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিলকে।
তিনি বলেন, “বিশ্বের স্থল ও সমুদ্রভাগের সব সাপের মধ্যে ‘ইয়েলো-বেলাইড সি’ চতুর্থ বিষধর। সচরাচর এদের দেখা যায় না।
“গত বছরে কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে এই সাপ দেখা যায়। এবার হাতিয়ায় দেখা মিললো। এদের মুখের গঠন এমন যেন তারা মাছ খেতে পারে। তবে এসব সাপ মানুষকে কামড় দেয় না।”
ইব্রাহীম খলিল বলেন, “আমরা ধারণা করছি, হাতিয়ার সাপটি জোয়ারের প্রভাবে উপরে উঠে এসেছে। সাধারণত উপকূলের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে এ প্রজাতির সাপ পাওয়া যায়। এরা বেশিরভাগ সময়েই অগভীর পানিতে থাকতে পছন্দ করে। দেশের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে প্রায়শই এদের দেখা যায়। তাই দেশের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গেলে সবার সচেতন থাকা উচিত।”
সাপটিকে দেখতে পাওয়া মুহাম্মদ তাসনিম মাহমুদ তামিম বলেন, “আমি সাপটি দেখে ভয় পেয়েছি। এমন সাপ কখনো দেখিনি। পরবর্তীতে অনেকে ভিড় জমিয়েছেন সাপটি দেখার জন্য। সাপের পেটের রং হলুদ এবং দেহের উপরিভাগ কালো। পরে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে জানতে পারলাম এটি বিষধর সাপ।”
হাতিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহবুব মোর্শেদ লিটন বলেন, “এই প্রথম হাতিয়ায় ‘ইয়েলো-বেলাইড সি’ সাপটি দেখা গিয়েছে। আমাদের জন্য খুবই চিন্তার বিষয়। আমরা বনবিভাগসহ ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলেছি।
“সত্যিকার অর্থে হাতিয়ার জেলে ও নদী তীরবর্তী মানুষরা আতঙ্কিত। আমরা চাই, যেন নিরাপদভাবে পর্যটকরা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে। উপকূল যেন সবার জন্য নিরাপদ থাকে।”
উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ বলেন, “এই প্রজাতির সাপ বাংলাদেশে সচরাচর দেখা যায় না। এর নাম ‘ইয়েলো-বেলাইড সি’। এরা হাইড্রোফিদা পরিবারভুক্ত।
ব্যারিস্টার সুমনের পাশে দাঁড়িয়ে লাবন্যময়ী হাসি ভাইরাল, মুখ খুললেন পিয়া জান্নাতুল
“ভয়ঙ্কর বিষধর এই সাপের অ্যান্টিভেনম বাংলাদেশে নেই। তাই সৈকতে এই ধরনের সাপ দেখলে লোকজনের সতর্ক হওয়া উচিত। সাপ দেখলে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং সাপটিকে সমুদ্রে চলে যেতে দিতে হবে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।