জুমবাংলা ডেস্ক : যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এক বৃদ্ধার শরীরে দেওয়া হয়েছে অন্য গ্রুপের রক্ত। ভিন্ন গ্রুপের রক্ত দেওয়ায় ওই রোগী মৃত্যুমুখে পড়েছেন।
ঘটনাটি গত ২০ মে ঘটলেও সোমবার (৩ জুন) সকালে নতুন করে রক্ত দিতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
বর্তমানে ওই বৃদ্ধা সালেহা বেগম (৭৭) জেনারেল হাসপাতালের মহিলা পেয়িং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তিনি মনিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের খড়িঞ্চা হেলাঞ্চি গ্রামের মৃত শামসুর রহমানের স্ত্রী।
রোগীর স্বজনেরা জানান, বাধর্ক্যজনিত রোগে ২০ মে যশোর মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক গৌতম কুমার আচার্য্যের পরামর্শে সালেহা বেগমকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রক্তশূন্যতার কারণে রক্ত দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। হাসপাতালের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ থেকে সালেহার রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়। রক্তের গ্রুপ আসে ‘বি পজিটিভ’।
পরে সালেহার শরীরে ‘বি পজিটিভ’ রক্ত দেওয়া হয়। তিন ব্যাগ রক্ত দেওয়ার পরে দুদিন পর সালেহাকে বাড়িতে নেওয়া হয়। এই অবস্থায় তার শরীরে জ্বালাপোড়া, বমিসহ খিঁচুনি শুরু হয়। সোমবার আবারও তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে শরীরে রক্ত দিতে গেলে সেই ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তারাই জানান তার রক্তের গ্রুপ ‘এ পজিটিভ’
ভোক্তভোগী ওই রোগীর মেয়ে শিরিনা আক্তার বলেন, ২০ তারিখে এই হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে তারা বলে মায়ের রক্তের গ্রুপ ‘বি’ পজেটিভ। তাদের কথামতো ‘বি’ পজেটিভ ডোনার এনে মাকে তিন দিন তিন ব্যাগ রক্ত দিয়েছি। রক্ত দেওয়ার পরে মাকে বাড়িতে নিয়ে যেয়ে তিনি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। খিচুনি-বমিসহ শরীর দুর্বল হয়ে যান। স্থানীয় ডাক্তারদের চিকিৎসা নিয়েও তিনি আরও অসুস্থ হয়ে যান। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল আবার হাসপাতালে নিয়ে এসে রক্ত দিতে গেলে ব্লাড ব্যাংক বলে মায়ের রক্তের গ্রুপ ‘বি’ পজেটিভ না। তার রক্তের গ্রুপের ‘এ’ পজিটিভ।
তিনি অভিযোগ করেন, হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকের ভুলের কারণে আমার মা এখন জীবন মৃত্যুর সন্নিক্ষণে। তিনি এখন খুব অসুস্থ।
ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের ইনচার্জ চঞ্চল হোসেন বলেন, নার্সরা রোগীর রক্তের নমুনা দেন স্বজনদের কাছে। তারা সেই নমুনা নিয়ে ব্লাড ব্যাংকে আসেন। এরপর পরীক্ষা করে ডোনারের রক্তের ম্যাচিং করে ডোনারের রক্ত নেওয়া হয়। সালেহার রক্তের গ্রুপ পরিবর্তনের বিষয়টি কীভাবে হলো বুঝতে পারছি না। একই নামের একাধিক নমুনা থাকলে এ রকম সমস্যা হতে পারে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন আর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, রোগীর স্বজনরা মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।