জুমবাংলা ডেস্ক : নাগলিঙ্গম, একটি ওষুধী বৃক্ষ। এ গাছের ফুল যতটাই না সুন্দর, তার চেয়ে বেশি সুন্দর ফল। গাছের পাতা আর ফুল এন্টিবায়োটিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহারিত হয়। আর এ গাছের ফল ব্যবহার হয় হাতির খাদ্য হিসেবে। প্রতিবছর জুন ও জুলাই মাসে ফুলেফলে ভরপুর থাকে এ নাগলিঙ্গম। বিরল প্রজাতির এ গাছের অদ্ভুত সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হন প্রকৃতিপ্রেমীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে ১৬মে রাঙামাটি বেতার কেন্দ্র উদ্বোধন করতে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নাগলিঙ্গন চারাটি রোপণ করেন। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে এ গাছ টি পরিচর্যা করে আসছে রাঙামাটি বেতার কেন্দ্র কর্তৃক্ষ।
রাঙামাটি আঞ্চলিক বেতার কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মো. সেলিম জানান, নাগলিঙ্গম গাছটি আসলে বিস্ময়কর সুন্দর। গাছের ফুল আর গন্ধ যে কাউকে আকর্ষণ করবে। শুনেছি সারা বাংলাদেশে মাত্র ৫১টি গাছ রয়েছে। তার মধ্যে তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান মিলে রাঙামাটিতে এই একটি গাছ রয়েছে। গাছটি আসলেই বিরল।
রাঙামাটি বেতার কেন্দ্রের কর্মচারী মিটু বলেন, নাগলিঙ্গন ফুলগুলো উজ্জ্বল লাল ও গোলাপি রঙের। ছয়টি পাপড়িযুক্ত এবং তিন মিটার দীর্ঘ মঞ্জুরিতে ফুটে থাকে। তিনি আরও বলেন, শুনেছি একটি গাছে প্রায় এক হাজারটি ফুল ধরতে পারে। ফুল দৈর্ঘ্যে ৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বড় হয়। ফুলের পাপড়ি গোলাকৃতি, বাঁকানো, মাংসল এবং ভেতর ও বাইরে যথাক্রমে গাঢ় গোলাপী ও পান্ডুর হলুদ। নাগলিঙ্গমের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর পরাগচক্র সাপের ফণারমত বাঁকানো এবং উদ্যত ভঙ্গি। রাতের বেলায় ফুল থেকে তীব্র সুগন্ধ বের হয়। যা সকাল পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে। সারা গ্রীষ্মকাল ধরেই নাগলিঙ্গম ফুল ফোটে। গোল ফলগুলো গাছের মত শক্ত।
কৃষি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার মতে, ওষুধ হিসেবে এ বৃক্ষের ফুল, পাতা এবং বাকলের নির্যাস এন্টিবায়োটিক, এন্টিফাঙ্গাল এবং এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহত্ব হয়। বিশেষ করে পেটের পীড়া দূরীকরণে এর জুড়ি নেই। আবার পাতা থেকে তৈরি জুস ত্বকের সমস্যা দূরীকরণে খুবই কার্যকর। দক্ষিণ আমেরিকার সামানরা এর পাতা ম্যালেরিয়োা রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।