বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : সুপারনোভার কথা বইয়ের পাতায় অনেক পড়েছেন। তা ছিল তাত্ত্বিক দিক। এবার বাস্তবেই এক সুপারনোভা দেখার সুযোগ পেল পৃথিবী। সুপারনোভা হল এক তারার ধ্বংস। এক প্রকাণ্ড বিস্ফোরণ। যে বিস্ফোরণ মানুষের কল্পনার অতীত। তা এতটাই তীব্র হয়।
একটি তারা বা নক্ষত্র, যার সহজ উদাহরণ সূর্য, তার একটি অভিকর্ষ থাকে। যা তার যাবতীয় শক্তিকে কেন্দ্রীভূত করে ও একটি বলের আকার দেয়। এই অভিকর্ষ বল না থাকলে কোনও নক্ষত্র জমাট বাঁধত না। তার পারমাণবিক শক্তি ছড়িয়ে পড়ত।
নক্ষত্রের এই পারমাণবিক জ্বালানিরও কিন্তু একটা শেষ আছে। কোটি কোটি বছর ধরে তা জ্বলার পর তা ক্রমশ নিভে আসে। তারপর এক সময় নিভে যায়। আর নিভে যাওয়ার সময় নক্ষত্রের নিউক্লিয়াসে একটি বিস্ফোরণ সংঘটিত হয়।
এক ভয়ংকর বিস্ফোরণ। যাতে তা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। এই সময়কেই বলা হয় সুপারনোভা। একটি নক্ষত্রের সুপারনোভার পর আর তার কোনও অস্তিত্ব থাকেনা। তবে তা মহাবিশ্বে একটি কৃষ্ণ গহ্বরের জন্ম দেয়।
এমনই একটি সুপারনোভা দেখল পৃথিবী। চন্দ্র এক্সরে অবজারভেটরি টেলিস্কোপের তোলা একটি তারার ধ্বংসের সেই ছবি নাসা সকলের সঙ্গে ভাগ করে দিয়েছে।
৯ হাজার আলোকবর্ষ দূরে ঘটা এই সুপারনোভা কীভাবে যে একটি অতি বিশাল ছিন্নভিন্ন কণা চারিদিকে ছড়িয়ে দেয় তা ধরা পড়েছে টেলিস্কোপে। যা বিজ্ঞানীদের যেমন উপকারে লাগবে গবেষণার কাজে, তেমনই সাধারণ মানুষকে এই বিরলতম ছবি স্তম্ভিত করে দিয়েছে। মহাকাশের এই বিস্ময়কর রূপে মুগ্ধ হয়ে গেছেন অনেকে।
৫০ হাজার বছর পর যখন পৃথিবী ঘেঁষে যাবে ধূমকেতু, দেখা যাবে খালি চোখেও
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।