আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে শনিবার (১৬ জুলাই) পর্যন্ত টানা ৬ দিনের মত চরম তাপপ্রবাহ অব্যাহত। এর মধ্যে কোথাও কোথাও প্রচণ্ড দাবানলও সৃষ্টি হয়েছে। ফ্রান্স, পর্তুগাল আর স্পেনে দাবানল মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। দাবানলের কারণে শত শত লোককে তাদের বাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস আগামী দিনগুলোতে ‘চরম তাপপ্রবাহের’ পূর্বাভাস দিয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে ফ্রান্সেও প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করেছে। যা আগামী সপ্তাহে আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।, গুরুতর আবহাওয়ার জন্য দেশেটির ১৬ বিভাগে কমলা রঙের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দেশটির গিরোল্ড অঞ্চল দাবানলে কুপোকাত। এই অঞ্চল থেকে ১২ হাজারের বেশি লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পর্তুগালের পাঁচটি এলাকায় জুলাই মাসে তাপমাত্রা ছিল রেকর্ড ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের এলাকাগুলোতে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় দাবানল নেভাবে দুই হাজার দমকলকর্মী কাজ করে যাচ্ছে।
শুক্রবার আগুন নেভাতে গিয়ে ব্রাগাঙ্কা অঞ্চলে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন চালক। এ পর্যন্ত দাবানলে একজন নিহত, ৬০ জন আহত হয়েছে এবং নয়শ’ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
স্পেনে শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৪৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মালাগার কয়েকটি এলাকায় দাবানল দেখা গেছে। ২৩শ’ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলে শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া দেশটিতে গত ১০ জুলাই থেকে ৩ দিনে দাবদাহে ৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ব্রিটেনের আবহাওয়া অধিদপ্তর ‘চরম তাপপ্রবাহের ‘ কারণে ‘রেড’ ওয়ার্নিং জারি করেছে। সোম এবং মঙ্গলবার সেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে তারা। ২০১৯ সালে সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলোকে তাপজনিত অসুস্থতায় রোগী ভর্তির জন্য সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। ট্রেনগুলো আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছে, অনেক যাত্রা বাতিল হতে পারে। সূত্র: বিবিসি, সিএনএন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।