জুমবাংলা ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে কয়েকজন ব্যবসায়ী সন্ধ্যায় বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকে করে কাঁচাকলা নিয়ে আসছেন। রাতে রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে কাঁচাকলাগুলো পাকানো হয়। সকালে পৌর শহর ভ্যানগাড়ি করে বিক্রিসহ ১০টি ইউপির ২৮টি বাজারে এই কলা পাঠানো হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, রাতে রাসায়নিক মিশ্রিত পানির বালতিতে কলা ডুবিয়ে রাখা হয়। আর সকালে এ কলার খোসার রঙ হলুদ হয়ে যায়।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেন, নিয়মিত কয়েক মাস রাসায়নিক মিশ্রিত কলা খেলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রায়পুর উপজেলায় প্রায় ১০টি কলার আড়ত রয়েছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫-৭ ট্রাক কলা নিয়ে আসেন আড়তদাররা। রমজান মাসেই কলা বেশি বিক্রি হয় এবং ক্রেতারা ইফতার ও সেহরির সময় কলা বেশি খেয়ে থাকেন।
রায়পুর শহরের ট্রাফিক মোড়ে পীর ফয়জুল্লাহ সড়কের তিনটি আড়ত ঘুরে দেখা যায়, সোমবার রাত ৮টায় আড়তগুলোতে চট্টগ্রাম থেকে দুই ট্রাক কাঁচাকলা আসছে। আর সকালে পাকা কলা পৌরশহরসহ ২৮টি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। আড়তদার হলেন— মো. জহির হোসেনের আড়ত, আবদুল মান্নানের আড়ত ও মো. জিয়ার আড়ত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভ্রাম্যমাণ এক কলা ব্যবসায়ী জানান, কাঁচাকলা পাকতে কয়েক দিন সময় লেগে যায়। কচি কলা তো অনেক সময় পাকতে চায় না। অল্প সময়ের মধ্যে পাকাতে অনেক রাতে আড়তদার রাসায়নিক মিশ্রিত পানির বালতিতে কাঁচাকলা ডুবিয়ে রাখেন। আবার কলার খোসায় কেমিক্যাল লাগিয়ে রাখেন। এতে রাতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কলার খোসার রঙ হলুদ হয়ে যায়। এ কলার রঙ চকচকে থাকে। ক্রেতারা এ কলা দেখেই আকৃষ্ট হয়ে যায়। সকালে সব বাজারে চলে যায়।
টিএনটি রোডের বাসিন্দা সাকিল হোসেন বলেন, গভীর রাতে আড়তগুলোতে ট্রাকে করে কাঁচাকলা আসে। রাসায়নিকের কারণে সকালে এ কলাগুলো হলুদ রঙের হয়ে যায়।
তবে কলার আড়তদার মো. জহির হোসেন বলেন, তারা আগুনের তাপ দিয়ে কলা পাকান। রাসায়নিক ব্যবহার করেন না।
শহরের সরকারি হাসপাতাল সড়কের বাসিন্দা জহির মুন্সি বলেন, গত শুক্রবার এক ডজন পাকা কলা কিনে বাসায় যাই। পরে দেখি কলাগুলোর ভেতরে কাঁচা। শনিবার পর্যন্তও ওই কলাগুলোর ভেতরে কাঁচা ছিল।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বাহারুল আলম বলেন, রাসায়নিক দিয়ে পাকানো কলা খেলে মানুষের কিডনি ও যকৃত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতই পারে এসব ব্যবসায়ীদের শাস্তি দিতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।