এ বছরই ঢাকার রাস্তায় চলবে ইলেকট্রিক গাড়ি

ইলেকট্রিক গাড়ি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : দেশের রাস্তায় ইলেকট্রিক গাড়ি নামনোর আগে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্টরা। অটোমোবাইল খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, সামনের সময় ইলেকট্রিক গাড়ির। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশে ইলেকট্রিক গাড়ির নিবন্ধন ও চলাচল সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি হওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক। তবে বিনিয়োগে সরকারের কাছে সহযোগিতা চান তারা।

ইলেকট্রিক গাড়ি

বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ইলেকট্রিক ভেহিকলস বা ইভি’র ব্যবহার। পরিচালন খরচ কম, পাশাপাশি জ্বালানি তেল ব্যবহার না হওয়ায় পরিবেশের তেমন ক্ষতি করে না এ গাড়ি। ২০২২ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটিরও বেশি ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫৫ শতাংশ বেশি। চাহিদা যে হারে বাড়ছে তাতে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে মোট বিক্রি হওয়া গাড়ির ৩৫ শতাংশই হবে বিদ্যুৎচালিত।

এদিকে, বাংলাদেশে ইলেক্ট্রিক মোটরযান নিবন্ধন ও চলাচল সংক্রান্ত নীতিমালা হয়েছে। এ বছরই ঢাকার রাস্তায় ১০০টি ইলেকট্রিক বাস নামানোর ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।

অটোমোবাইল খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য রাস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে থাকতে হবে চার্জিং স্টেশন। শিগগিরই চার্জিং সুবিধাসহ ইলেক্ট্রিক পিকাপ ও ট্রাক বাজারে আনতে চায় বাংলা কারস।

হোসেন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, “কোরবানি ঈদের আগে ইলেকট্রিক ট্রাক নামানো হবে। তিন ঘণ্টার এক চার্জে ৬শ’ কিলোমিটার চলবে। সুতরাং ঢাকা থেকে চিটাগাং যেয়ে পুনরায় চার্জ দিয়ে নিলেই হবে।”

এদিকে, বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারে খরচ কম হলেও প্রাথমিক বিনিয়োগ বেশি। এক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন বলছে ইফাদ অটোস।

অনলাইনে একাধিক জন্মসনদের ক্ষেত্রে আসছে নতুন নিয়ম

ইফাদ অটোস চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ টিপু বলেন, “এটাতে ইনভেস্টমেন্ট অনেক হাই কিন্তু অপারেটিং কস্ট নাই। এটাতে ফুয়েল লাগবে। ইঞ্জিন তো নাই, এটা মোটরে চলবে। প্রথমেই খরচটা বেশি পড়বে, এক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।” বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারে উৎসাহিত করতে এসব গাড়ির শুল্ক কমানোরও প্রস্তাব দিয়েছেন গাড়ি ব্যবসায়ীরা।