আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কয়েক দিনের ছুটিতে সিঙ্গাপুর বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে এমন নাস্তানাবুদ হতে হবে, তা বোধহয় স্বপ্নেও কল্পনা করেননি জাপানের বাসিন্দা জুনকো শিনবা। সিঙ্গাপুরের একটি রেস্তরাঁয় খাওয়ার পর প্রায় ফতুর হওয়ার জোগাড় হয়েছে জুনকোর।
বিদেশে থাকা-খাওয়ার খরচ যে বেশি, সে ধারণা জুনকোর ছিল। তাই প্রস্তুত হয়েই এসেছিলেন। কিন্তু রেস্তরাঁর বিল হাতে পাওয়ার পর তা দেখে তিনি প্রায় মূর্ছা যাচ্ছিলেন। সিঙ্গাপুরে সামুদ্রিক খাবাররের রেস্তরাঁ ‘সিফুড প্যারা়ডাইস’-এ গিয়েছিলেন তিনি। রেস্তরাঁ কর্মীরা তাঁকে সেখানকার বিখ্যাত পদ ‘আলাস্কান কিং চিলি ক্র্যাব ডিশ’ খাওয়ার পরামর্শ দেন। জুনকোও সেটি অর্ডার করেছিলেন। প্রথম বার খেয়ে ভাল লাগায় আরও এক প্লেট অর্ডার করেন। খাওয়াদাওয়ার পর হাতে বিল আসতেই ভিরমি খান তিনি। দু’প্লেট কাঁক়ড়ার দাম ৯৩৮ ডলার। ভারতীয় মূল্যে যার দাম ৫৭ হাজার টাকা।
জুনকো এত টাকা দিতে অস্বীকার করেন। খাবারের এত দাম হতে পারে সেটা তিনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। তিনি পুলিশ এবং ‘সিঙ্গাপুর ট্যুরিজম বোর্ড’-এ রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তবে রেস্তরাঁর তরফে জানানো হয়, প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁকড়ার দাম ২৬.৮০ ডলার। অর্থাৎ ২২২৮ টাকা। সেই হিসাবেই দু’প্লেটের দাম হয়েছে ৫৭ হাজার টাকা।
রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ জানান, অর্ডার করার সময়ই এখানে খাবারের দাম অতিথিদের জানিয়ে দেওয়া হয়। জুনকোও জানতেন। তবে জুনকো অবশ্য তা মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, খাবারের দাম তিনি আগে জানতেন না। জানলে এত দামের খাবার তিনি কখনও অর্ডার করতেন না। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এবং ট্যুরিজ়ম বোর্ডের মধ্যস্থতায় চাপে পড়ে ১০৭.৪৯ ডলার ছাড় দেয় রেস্তরাঁ। যা বিল হয়েছে তার থেকে ৮,৯৩৭ টাকা কম দেন জুনকো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।