জুমবাংলা ডেস্ক : প্রেমিকের হাত ধরে ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন। এরপর বিয়ে এবং বাচ্চা। কিন্তু সুখ তো দূরে থাক, এখন দুবেলা দুমুঠো ভাতই ঠিকমতো জুটছে না। গত ৬ মাস যাবৎ স্ত্রীর ভরণপোষণ দিচ্ছেন না স্বামী। নিরুপায় হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই তরুণী।
টাঙ্গাইলের সখিপুরের ছেলে আলামিন মিয়া। পেশায় গাড়িচালক। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সুখের সংসার ছিল তার। এর মধ্যে ফেসবুকে ভারতীয় তরুণী শাহানাজ বেগমের সাথে পরিচয় হয় তার। স্ত্রী সন্তানের কথা গোপন রেখে কথা বলা শুরু করেন।
এক পর্যায়ে ‘গভীর প্রেমে’ রূপ নেয় তাদের সম্পর্ক। ভারতে প্রেমিকার কাছে ছুটে যান আলামিন। গিয়ে মেয়ের পরিবারকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তারা তা মেনে নেননি।
প্রেমের টানে আলামিনের হাত ধরে বাংলাদেশে চলে আসেন শাহবাজ বেগম। আসার সময় বেশ কিছু গহনা ও দামী মোবাইল ফোন নিয়ে আসেন। এরপর তাদের ধর্মীয়ভাবে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর ৬ মাস ভালেই চলছিল। এরপর হঠাৎ করেই বদলে যান স্বামী আলামিন মিয়া। এর মধ্যে তাদের ঘরে জন্ম হয় ফুটফুটে পুত্র সন্তানের। স্ত্রী ও সন্তানের খাওয়া-পরার খরচ দেয়া বন্ধ করে দেন আলামিন। ফলে শিশু সন্তান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন ২০ বছর বয়সী তরুণী।
জানা গেছে, বিয়ের পর কৌশলে ৬ মাস গাজিপুর, গোড়াই ও চন্দ্রাসহ বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেছেন আলামিন ও শাহানাজ। এরপর ৪ মাস আগে সখিপুরের বড়চওনা ইউনিয়ন মোটেরপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় উঠেন।
কিন্তু এরপর থেকে বাসা ভাড়া, খাওয়া-পরার খরচ দেয়া বন্ধ করে দেন আলামিন। সেই সঙ্গে শাহানাজের ওপর নির্যাতন শুরু করেন তিনি। এরই মধ্যে জন্ম নেয় সন্তান। এ অবস্থায় চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন শাহানাজ।
বাড়ির মালিক ও এলাকাবাসী জানান, বাসা ভাড়া নেয়ার পর গত ৪ মাস যাবৎ কোনো ভাড়া দেননি আলামিন। এই মেয়ে ও শিশু সন্তানের সকল ভরণপোষণ তারা করছেন। তরুণীকে স্বামীর ঘরে ফেরাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কারনা করেছেন তারা।
বড়চওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম বলেন, আলামিনের পরিবারের সাথে কথা বলে তাদের সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
বিষয়টি সখিপুর থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছেন শাহানাজ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ শাহিনুর রহমান জানান, তিনি লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন পাটওয়ারী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।