জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের কিশোরীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় কিশোরগঞ্জের এক তরুণীর। সেই পরিচয় থেকে তাদের মধ্যে গড়ে উঠে বন্ধুত্ব। নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে সেই বন্ধুত্ব রূপ নেয় গভীর এক সম্পর্কের। এবার সেই বান্ধবীকে বিয়ে করতে টাঙ্গাইলে ছুটে গেলেন কিশোরগঞ্জের ওই তরুণী।
রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে গোপালপুরের হাসপাতাল সংলগ্ন স্টেডিয়ামের পাশের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্যের। ওই তরুণীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে। আর কিশোরীর বাড়ি টাঙ্গাইলের গোপালপুরে।
জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মাধ্যমে তাদের দীর্ঘ এক বছরের পরিচয়। ফেসবুকেই দীর্ঘ আলাপচারিতা। এরপর একজনের প্রতি অন্য জনের আসক্তি বাড়তে থাকে। জড়িয়ে পড়েন গভীর সম্পর্কে। সিধান্ত নেন ঘর ছাড়ার। তিনদিন আগে দু’জনে একসঙ্গে ঘরও ছেড়েছিলেন। গত ১৮ এপ্রিল গোপালপুর যান কিশোরগঞ্জের ওই তরুণী। এমনকি তারা হাসপাতালের পিছনে স্টেডিয়াম সংলগ্ন একটি বাসার এক রুম মাসিক ১৫০০ টাকায় ভাড়া নিয়ে বসবাসও শুরু করে।
এ সময় তারা নিজেদের গার্মেন্টসকর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। পরবর্তীতে বাসার আশপাশের নারীরা তাদের জীবনযাপন ও চলাফেরা দেখে সন্দেহ করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
টাঙ্গাইলের কিশোরী বলেন, আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি এবং দুজন দুজনকেই বিয়ে করতে চাই। সমাজ আমাকে যাই দেখুক না কেন, আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি। তাই বাড়ি থেকে নিরুপায় হয়ে পালিয়ে এসেছি। এখন আমাদের পরিবার এসব মানবে না তাই আমরা দুজন পালিয়ে এসে এখানে বসবাস করছি।
কিশোরগঞ্জের ওই তরুণী বলেন, আমি তার কাছে ছুটে এসেছি, কারণ আমি তাকে অনেক ভালোবাসি। আমরা এখন কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে পারবো না।
এদিকে, টাঙ্গাইলের কিশোরীর বাবা বলেন, আমি তিন দিন ধরে আমার মেয়েকে খুঁজে পাই নাই, খুঁজে না পেয়ে গোপালপুর থানায় জিডি করতে এসেছিলাম, তারপর খোঁজ পেলাম থানায় আমার মেয়েকে অন্য মেয়ের সঙ্গে নিয়ে এসেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এমন ঘটনা তারা কখনো শুনেননি বা দেখেননি। বিষয়টি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। জানাজানি হলে পুলিশকে অবগত করা হয়। পরে গোপালপুর থানা পুলিশ দুই মেয়েকে নিয়ে পুলিশ হেফাজতে রাখে। পরবর্তীতে তাদের টাঙ্গাইল জেলা জজ কোর্টে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে, হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দারা জানান, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী ওই মেয়েটি তিন দিন আগে এসে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে। তাদের দাবি-তারা কেউ কাউকে ছাড়া থাকবে না। তারা গার্মেন্টসে চাকরি করে একত্রে সারাজীবন কাটাবে বলে জানিয়েছে। এক্ষেত্রে তারা একে অপরকে স্বামী-স্ত্রী মনে করছেন।
গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, এরকম ন্যক্কারজনক ঘটনা কখনো আমি শুনিনি, আর আজ আমি নিজে দেখতে পেলাম।
গোপালপুর থানার ওসি মোহাম্মদ ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব বলেন, এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো আইন না থাকায় দুজনকেই টাঙ্গাইল জেলা বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।