আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচন নিয়ে সব রাজনৈতিক মহলেই ব্যস্ততা তুঙ্গে। সেই সময় বলিউড অভিনেতা আমির খানের নাম করে একটি বিজ্ঞাপন ভাইরাল হয়। সেখানে মোদি সরকারের বিরোধিতায় সরব হতে দেখা যায় মিস্টার পারফেকশানিস্টকে। ভাইরাল হয়ে যাওয়া এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে আমির খানের যে ভয়েস ওভার ব্যবহার হয়েছে তা অভিনেতার মতো শুনতে লাগলেও সেটি আর্টিফিসিয়্যাল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে তৈরি করা।
২০১৪ সালে দেশের প্রতিটি মানুষের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সেই ঘটনাকে ঘিরেই এনডিএ সরকার নিশানা করা হয়েছে ওই ভুয়া ভিডিওতে। অভিনেতা ‘জুমলাবাজ’দের থেকে সাবধান থাকার বার্তা দেন ওই ভিডিয়োতে। এবার জানা গেলো সেই ভিডিয়োটি ভুয়া এবং AI-এর সাহায্যে তৈরি।
আমিরের অফিসের দাবি, অভিনেতার মুখ মর্ফ করে ভিডিওতে ব্যবহার করা হয়েছে। এই ভিডিওর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছেন আমির, দায়ের করেছেন এফআইআর। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে আমির কখনই কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করেননি, তবে তিনি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয়দের উপস্থিত হয়ে ভোটদান করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমির স্পষ্ট করে দিতে চান, অভিনেতা তার ৩৫ বছরের কেরিয়ারে কখনোই কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করেননি। তিনি বিগত অনেক নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের জনসচেতনতামূলক প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সচেষ্ট হয়েছেন।’ আমিরের অফিস থেকে অভিযোগ পেতেই পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ (অন্যকে নকল করা), ৪২০ (প্রতারণা) সহ একাধিক ধারায় এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করে।
গত বছর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নকল ভিডিওগুলির দ্বারা সৃষ্ট গুরুতর বিপদ সম্পর্কে দেশকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় বলেছিলেন- ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি ডিপফেকের কারণে একটি নতুন সংকট দেখা দিচ্ছে।
সমাজের একটি খুব বড় অংশ জুড়ে এটি রয়েছে যেখানে যাচাইকরণের ব্যবস্থা নেই… এটি (ডিপফেক) আমাদের গুরুতর বিপদের দিকে নিয়ে যাবে এবং অসন্তোষের আগুন ছড়িয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।