জুমবাংলা ডেস্ক : চাল, ডাল, তেলের পর এবার অস্থির চিনির বাজার। দফায় দফায় দাম বাড়ার পর এবার বাজার থেকে এক রকম উধাও চিনি। দু’একটি দোকানে মিললেও প্রতি কেজি কিনতে গুনতে হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। আবার কোনো কোনো দোকানি শুধু চিনি বিক্রি করতে চাইছেন না, অন্য পণ্য কেনার শর্তে বেচছেন চিনি। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মিরপুর, নিউমার্কেট, মহাখালী, মালিবাগ ও সেগুনবাগিচাসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন পরিস্থিতি জানা গেছে।
তিন দফায় বেড়ে খুচরা বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা পর্যন্ত, যা গেল সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। কারওয়ানবাজারের বিক্রেতারা জানান, এক কেজি খোলা চিনির দাম ৯০ টাকা বেঁধে দেয়া হলেও কিনতে গেলেই বর্তমানে দাম পড়ছে ১০২ থেকে ১০৪ টাকা। তাই তারা বিক্রি করছেন না এই পণ্যটি। এতোদিন প্যাকেটজাত চিনি পাওয়া গেলেও এখন এই চিনির সংকট দেখা দিয়েছে, বাজারে নেই বলে দাবি বিক্রেতাদের।
রাজধানীর কাটাবনের দোকানদার আলম বলেন, বাজারে চিনির সরবরাহ কমেছে। কোম্পানিগুলো প্যাকেটজাত চিনি সরবরাহ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। চিনির বাজারেও কারসাজি করা হচ্ছে। মহাখালী কাঁচাবাজারের আল্লাহর দান স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. খোকন বলেন, কিছু প্যাকেট ছিল, বিক্রি হয়ে গেছে। বিক্রি করার মতো এখন খোলা বা প্যাকেট কোনো চিনিই নেই।
তবে মিল মালিকরা বলছেন, গ্যাস সংকটের কারণে চিনি পরিশোধনকারী কারখানাগুলোতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। দৈনিক ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার বেশি মিল চালানো যায় না। এতে কারও কারও উৎপাদন কমেছে এক-পঞ্চমাংশে। এ ছাড়া তাদের পরিবহনগুলোও গ্যাসের সমস্যায় ভুগছে।
সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, আগে মিলগুলোতে ২৪ ঘণ্টাই গ্যাস পাওয়া যেত। কিন্তু এখন ৬ ঘণ্টাও মিলছে না। তাই দৈনিক চিনি সরবরাহ ৩ হাজার টন থেকে কমে ৫০০ থেকে ৫৫০ টনে নেমে এসেছে। গ্যাসের সমস্যায় মাঝপথে উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় তেল ও চিনি নষ্ট হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বাজার তদারকি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, বাজারে পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে প্রতিদিন বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কোনো অনিয়ম পেলে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। অধিদপ্তরের প্রত্যেক সদস্য ভোক্তার স্বার্থে কাজ করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।