আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়া ও ভারতের পর এবার চাঁদে মিশন শুরু করতে যাচ্ছে জাপান। মুন স্নাইপার নামের এইচ-২ রকেটটি গতকাল রোববার সকালে দক্ষিণ জাপানের তানেগাশিমা স্পেস সেন্টার থেকে উড্ডয়নের কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে এটিকে এক দিন পিছিয়ে সোমবার উৎক্ষেপণ করা হবে বলে জানিয়েছে জাপানের অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জেএএক্সএ)।
রকেটটি একটি ল্যান্ডার বহন করবে যা চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে চাঁদের পৃষ্ঠে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ছাড়া এতে থাকবে একটি এক্স-রে ইমেজিং স্যাটেলাইট; যা মহাবিশ্বের বিবর্তন সম্পর্কে ধারণা দেবে।
এটি একটি উন্নত ইমেজিং স্যাটেলাইট ও একটি লাইটওয়েট ল্যান্ডার বহন করবে। আশা করা হচ্ছে, আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে মহাকাশযানটি চাঁদে নামবে।
জাপানের মহাকাশ সংস্থাটির জন্য এ মিশনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এরই মধ্যে বেশ কিছু ব্যর্থতার পর ইমেজ সংকটে পড়েছে সংস্থাটি। গত বছর কয়েকটি অভিযানে ব্যর্থ হয় তারা। মহাকাশ কর্মসূচিতে বিশ্বের অন্যতম দেশ জাপান। তবে চাঁদের গঠন নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতে টোকিওর সেখানে ল্যান্ডার স্থাপনের প্রথম প্রচেষ্টা ২০২২ সালের নভেম্বরে ব্যর্থ হয়। গত মাসে একটি পরীক্ষার সময় একটি নতুন ধরনের রকেটও বিস্ফোরিত হয়।
এবার অবশ্য জাপানিদের সবচেয়ে বড় ভরসা এটির ল্যান্ডার। এটির নাম দেওয়া হয়েছে স্মার্ট ‘ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন’ বা এসএলআইএম। আসলে ডিজাইন ল্যান্ডারটিকে অন্যসব থেকে আলাদা করেছে।
‘ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন’ আকারে অনেক ছোট এবং হালকা। ২.৪ মিটার উচ্চতার ল্যান্ডারটি ২.৭ মিটার চওড়া, ওজন ৭০০ কেজি। এর নির্ভুলতার জন্য মিশনটির নাম দেওয়া হয়েছে মুন স্নাইপার। একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের ১০০ মিটারের মধ্যে এটির অবতরণ করার সক্ষমতা রয়েছে।
এসএলআইএম-এর প্রকল্প দলের শিনিচিরো সাকাই ভারতের সাফল্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘চাঁদে অবতরণ অত্যন্ত কঠিন প্রযুক্তি। তবে আমরা আমাদের সেরা চেষ্টাটা করবো।’ উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে ল্যান্ডার অবতরণ করে ইতিহাসে নাম লেখায় ভারত। আর এর কয়েকদিন আগে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে বিধ্বস্ত হয় রাশিয়ার লুনা-২৫।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।