বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ইঁদুরের মাথায় মানুষের মাথার কোষ বসালেন আমেরিকার বিজ্ঞানীরা। স্কিৎজোফ্রেনিয়া কিংবা অটিজমের মতো রোগের নিরাময় খুঁজতে এই উদ্ভাবন কাজে আসবে বলে আশা বিজ্ঞানীদের। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার’ পত্রিকায়।
সদ্যোজাত ইঁদুরের মাথায় মানুষের মাথার কোষ বসাতে সক্ষম হলেন আমেরিকার বিজ্ঞানীরা। হঠাৎ এ হেন উদ্যোগ কেন? বিজ্ঞানীদের দাবি, মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগ নিয়ে গবেষণা করতে কাজে আসতে পারে এই বিষয়টি। স্কিৎজোফ্রেনিয়া কিংবা অটিজমের মতো রোগের নিরাময় খুঁজতে এ বার ইঁদুর ব্যবহার করা যাবে বলে আশা বিজ্ঞানীদের। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার’ পত্রিকায়।
মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগ নিয়ে গবেষণা করা খুবই কঠিন। কারণ, মানবমস্তিষ্কের জটিল গঠন। মানুষের স্নায়ুকোষ বা নিউরোনের গঠনও মৌলিক। কাজেই অন্য কোনও প্রাণীর মস্তিষ্কে গবেষণা চালালে সব সময় মানুষের সঙ্গে মেলে না। কৃত্রিম ভাবে দেহের বাইরে কোষগুলির তৈরি করা হলেও তার বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয় না।
এই সব প্রতিবন্ধকতা দূর করতেই মানুষের মস্তিষ্কের কিছু কোষ সদ্যোজাত ইঁদুরের মস্তিষ্কে বসান বিজ্ঞানীরা। কোষদ্বারা গঠিত যে ‘মিনি মস্তিষ্ক’ ইঁদুরের মাথায় বসানো হয়েছে তাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘অর্গ্যানয়েড’। তবে এর থেকে পুরোদস্তুর মানুষের মতো মস্তিষ্ক গঠিত হয় না বলেই দাবি বিজ্ঞানীদের।
আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক সারগিউ পস্কার নেতৃত্বে চলেছে এই গবেষণা। তাঁর দাবি, ইঁদুরের দৈহিক বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কোষগুলি স্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাবে। তবে গোটা বিষয়টি কতটা কাজের কাজ হবে, তা নিয়ে নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীদের অপর একটি অংশ। বলা হচ্ছে, মানুষের মনোবৈজ্ঞানিক রোগগুলি নিছক স্নায়ুকোষের সমস্যা নয়। তাই এই পদ্ধতি আদৌ কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।