বিনোদন ডেস্ক : বছরখানেক আগেও যাকে নিয়ে কোনো আলোচনা ছিল না, সেই কিরাভানি এখন ভারতের অন্যতম আলোচিত ব্যক্তি। সুরের জাদুতে শুধু ভারতবাসীকেই নয়, মুগ্ধ করেছেন গোটা বিশ্বকে। ২০২২ সাল বছরটা স্মরণয় হয়ে থাকবে এম এম কিরাভানির জীবনে। এস এস রাজামৌলি পরিচালিত ‘আরআরআর’ চলচ্চিত্রের সুর ও সংগীতের মাধ্যমে নিজেকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন কিরাভানি। তার ‘নাটু নাটু’ গানটি বিশ্বের অগণিত মানুষের মন জয় করে নিয়েছে।
পাশাপাশি জিতে নিয়েছে সবচেয়ে মর্যাদাজনক পুরস্কার গোল্ডেন গ্লোব ও ক্রিটিকস চয়েজ অ্যাওয়ার্ড। এ ছাড়া এম এম কিরাভানির কৃতিত্বের জন্য কয়েকটি বড় আন্তর্জাতিক পুরস্কার তার ঝুলিতে জমা হয়েছে। তাকে এই বছর পদ্মশ্রী পুরস্কারও দেওয়া হবে। এই গুণী সুরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে বলিউড তারকারাও। আর সবার ভালোবাসার প্রতিদান তিনি দিতে চান অস্কার জয়ের মাধ্যমে। এবার অস্কার জিতবে তার গান- সম্প্রতি এমনটাই প্রত্যাশা রাখলেন এই গুণী সুরকার।
অস্কার নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন এই সংগীত পরিচালক। নিজের পরিকল্পনার বিষয় বলতে গিয়ে তিনি বলেন, দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য তিনি প্রস্তুত। এর আগে আমেরিকা থেকে তিনি একটি দারুণ সম্মানীয় পুরস্কার নিয়ে এসেছেন দেশে, এবার পালা আরো একটির। কিরাভানি বলেন, ‘এর আগে আমি গোল্ডেন গ্লোব এবং ক্রিটিকস চয়েজ অ্যাওয়ার্ড এনে দিয়েছি ভারতকে। এবার আমি আত্মবিশ্বাসী ভারতের জন্য আমিই অস্কার জিতব।’
সপ্তাহের শেষে আমেরিকা যাবেন এম এম কিরাভানি। দেশ ছাড়ার আগে এই সুরকার জানান, ১০ ফেব্রুয়ারি লস অ্যাঞ্জেলেসের জন্য রওনা দেবেন তিনি। আগামী মাসে অস্কার। ১৩ ফেব্রুয়ারি সান্টা বর্বারার আর্লিংটন থিয়েটারে তাকে সম্মানিত করবে বিশ্বের জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ‘ভ্যারাইটি’।
ভ্যারাইটির নবম বার্ষিক আর্টিজান অ্যাওয়ার্ডসে ফ্র্যাঙ্ক ক্রুজ, সন লাক্স ব্যান্ড, ক্যাথারিন মার্টিন, ফ্লোরেন্স মার্টিন, এরিক সাইন্ডন, পল রজার, আদ্রিয়ান মরোট এবং ক্লাডিও মিরান্ডার মতো বৈশ্বিক তারকাদের সঙ্গে তাকেও সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এতে গর্বিত অনুভব করছেন এই সুরকার। তবে অস্কার জয়ের মাধ্যমেই দেশে ফিরতে চান তিনি, এমনটাই প্রত্যাশা রাখলেন কিরাভানি।
সূত্র : মিরচি প্লাস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।