জুমবাংলা ডেস্ক : এবার পটুয়াখালীর একটি পুকুরে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। বাঁশ ও কাঠ দিয়ে পদ্মা সেতুর আদলে তৈরি করা এ সেতুটি শহরের সার্কিট হাউজের সামনের পুকুরে তৈরি করা হয়েছে। মূলত পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নমুনা স্বরূপ পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এটি তৈরি করা হয়েছে।
সেতুটি দেখতে ভিড় করছেন স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। বিশেষ করে রিকশা, ইজিবাইক চালকের ভিড় বেশি। পাশাপাশি ভিড় করছেন স্থানীয়রাও। অনেকেই তুলছেন সেলফি, আবার পুরো সেতুকে ক্যামেরাবন্দী করতেও দেখা গেছে অনেককেই।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে শনিবার (২৫ জুন) সকালে পুকুরে নির্মিত এ সেতুতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন এবং পৌরসভার যৌথ এ অয়োজনে শোভাযাত্রায় অনেক মানুষের অংশ নেয়ার প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সেতু নির্মাণের দায়িত্বে থাকা গোবিন্দ ঘোষাল জানান, ২৪ জন মানুষের ছয় দিন সময় লেগেছে এ সেতুটি তৈরি করতে। শুক্রবার (২৪ জুন) কাজ শেষ করে জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপরেই সেখানে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
গোবিন্দ আরও জানান, বাঁশ ও কাঠ দিয়ে ১৯টি স্প্যানের ওপরে নির্মাণ করা এ সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০০ ফুট । সেতুতে পানির ছয় ফুট উপরে নমুনা রেল লাইন নির্মাণ করা হয়েছে।
উপরে দুই পাশে ২০টি ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়েছে। সেতুটি আলোকিত ও দৃষ্টিনন্দন করতে লাইটিংও করা হয়েছে। এটি নির্মাণে ৪৮৫টি বাঁশ, ৫০০ ঘনফুট কাঠ এবং ১৫০টি প্লাইউড ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সেতু দেখতে আসা শহরের মিঠাপুকুর পাড় এলাকার মাজহারুল ইসলাম জানান, সময় ও সক্ষমতার অভাবে সরাসরি পদ্মার পাড়ে গিয়ে পদ্মা সেতু দেখতে পারিনি এখনও।
নদীতে পড়ে যাওয়া আইফোন ১০ মাস পর সচল অবস্থায় ফিরে পেলেন মালিক
কিন্তু এখানে এসে কাঠের সেতু দেখলেও মনে হয় যেন প্রকৃত পদ্মা সেতু। এই সেতুর নীচের পিলার ও রেল লাইনের অংশ দেখলে মনেহয় হুবহু পদ্মা সেতু। আলোক সজ্জার ধরণও অনেকটা পদ্মা সেতুর মতোই। পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে পটুয়াখালীবাসীর কাছে স্মরণীয় করে রাখতে ব্যতিক্রম এ আয়োজন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।