জুমবাংলা ডেস্ক : সংস্কার নয়, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যমান সংবিধান বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে ‘বৈষম্যমুক্ত সশস্ত্র বাহিনী, বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় রূপরেখা’ শীর্ষক সেমিনারে কথা বলেন তিনি।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যে সংবিধান একটা ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা উপহার দিয়েছে, সেই সংবিধান বিদ্যমান রেখে আমরা বিডিআর বিদ্রোহ থেকে শুরু করে ওই সরকারের আমলে যত অপশাসন হয়েছে, সেগুলোর বিচার নিশ্চিতের আশা করতে পারি না।’
তিনি বলেন, আন্দোলন চলাকালে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সেখানে সরকারের বিভিন্ন অন্যায়ের কড়া সমালোচনা করা হয়। আমরা তখন আত্মগোপনে ছিলাম। অনলাইনে সবাইকে একত্রিত করার চেষ্টা করছিলাম। সে সময় জেনারেল ইকবাল করিম ভুঁইয়া ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ দেখে আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।
এ সমন্বয়ক বলেন, এ সরকারে যারা রয়েছেন তারা কোনো সংবিধান বা নিয়ম মেনে আসেনি। সুতরাং এই ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থা বিলোপ করার জন্য সংবিধানের দোহাই দিয়ে বা কোনো নিয়মের দোহাই দেয়া হলে তারা পুরো জাতিকে হতাশ করবে।
হাসনাত বলেন, ‘যে সংবিধান আমাদেরকে একটা ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা উপহার দিয়েছে, সেই সংবিধান বিদ্যমান রেখে আমরা বিডিআর বিদ্রোহ থেকে শুরু করে ওই সরকারের আমলে যত অপশাসন হয়েছে সেগুলোর বিচার নিশ্চিতের আশা করতে পারি না। সুতরাং দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদের বিদ্যমান সংবিধান বাতিল করে দিয়ে অবশ্যই আবার সংবিধান পুনর্গঠন করতে হবে।’
একই অনুষ্ঠানে ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সেমিনারে বৈষম্যের শিকার সাবেক সামরিক অফিসাররা বৈষম্যহীন ও পেশাদার সামরিক বাহিনী গঠনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।