জুমবাংলা ডেস্ক : জনাকীর্ণ বাজারে রাস্তা বন্ধ করে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির নিকট বিষয়টি প্রতীয়মান হয়েছে মর্মে সোমবার এক পত্রে এর ব্যাখ্যা দিতে ব্যারিস্টার সুমনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হবিগঞ্জ-৪ আসনের অনুসন্ধান কমিটি কার্যালয় থেকে হবিগঞ্জ সদর আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পাল এই নির্দেশ দেন। নির্দেশ মোতাবেক আগামী ৭ ডিসেম্বর সুমন ব্যাখ্যা দেবেন বলে জানিয়েছেন।
নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির দেওয়া পত্রে বলা হয়, গত ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের আসামপাড়া বাজারে এক নির্বাচনি জনসভা করেন ব্যারিস্টার সুমন। প্রথমত উহা একটি জনাকীর্ণ বাজার। দ্বিতীয়ত ওই নির্বাচনি সমাবেশের জন্য বাজারের তিন রাস্তার মোড়সহ ওই বাজারের ওপর দিয়ে চলাচলকারী প্রধান তিনটি সড়ক বন্ধ করে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা হয়। তৃতীয়ত ওই নির্বাচনি সমাবেশের বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়নি।
ফলে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি-০৬ (খ, গ, ঘ) ভঙ্গ করা হয়েছে বলে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। আগামী ৭ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে ব্যারিস্টার সুমনকে এই কমিটির কাছে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
পত্রটির অনুলিপি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (আইন), হবিগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এবং হবিগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে।
ব্যারিস্টার সুমন নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা মেনে চলতে চান জানিয়ে বলেন, কমিটির কাছে আমি ৭ ডিসেম্বর লিখিত ব্যাখ্যা দেব। আমি বাংলাদেশের যে কোনো জায়গায় গেলে মানুষ আমাকে ভালোবেসে দেখার জন্য ছুটে আসে। সেদিনও বিকল্প হয়নি। কিন্তু বুঝতে পারিনি সেখানে এত মানুষ হবে। সেদিন সেখানে বাইরের এলাকার লোকজন গিয়ে ভিড় বাড়িয়েছিলেন। এটা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন হবিগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।