বিনোদন ডেস্ক : বেশ কিছু বছর ধরেই স্বামীর সঙ্গে একছাদের নীচে থাকছিলেন না সদ্য ভোটে জয়ী সাংসদ ও অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে লোকসভা নির্বাচনে হুগলি থেকে তাঁর নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করার পর থেকেই গোটা সমীকরণটাই বদলে গেল। ভোটের প্রচারে হোক অথবা হলফনামা জমা, সব জায়গাতেই রচনাকে সামলাতে দেখা গিয়েছে তাঁর স্বামী প্রবালকুমার বসুকে।
বেশ কিছু বছর ধরেই স্বামীর সঙ্গে একছাদের নীচে থাকছিলেন না সদ্য ভোটে জয়ী সাংসদ ও অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে লোকসভা নির্বাচনে হুগলি থেকে তাঁর নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করার পর থেকেই গোটা সমীকরণটাই বদলে গেল।
ভোটের প্রচারে হোক অথবা হলফনামা জমা, সব জায়গাতেই রচনাকে সামলাতে দেখা গিয়েছে তাঁর স্বামী প্রবালকুমার বসুকে। স্ত্রীর জয়ের পর রীতিমতো উচ্ছ্বসিত ছিলেন প্রবাল। ভোট আবহেই ফের কাছাকাছি এলেন রচনা-প্রবাল।
সাংসদ হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গা থেকে নানান ধরনের অনুষ্ঠানে যেতে হয়েছে রচনাকে, আর তার ওপর ছিল তাঁর দিদি নম্বর ১-এর শ্যুটিং। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সময়ই পাচ্ছিলেন না রচনা। তবে রবিবার ছেলে প্রণীল ও স্বামী প্রবাল মিলে রচনাকে সারপ্রাইজ ডিনারে নিয়ে যান। আর সেখান থেকেই ভিডিও শেয়ার করেছেন সাংসদ রচনা। ছেলে-স্বামীকে নিয়ে রচনা একফ্রেমে, বহুদিন পর এই ছবি দেখা গেল। এই ভিডিও শেয়ার করে রচনা ক্যাপশনে লিখেছেন, সারপ্রাইজ সানডে লাঞ্চ। আমার ছেলে প্রণীল ও প্রবীরকে এর জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভিডিওতে তিনজনকে ডিনার টেবিলেও দেখা গিয়েছে।
২০০৭ সালে বিয়ে হয় রচনা-প্রবালের। বেশ কিছু বছর একসঙ্গে থাকার পর তাঁরা আলাদা আলাদা থাকতে শুরু করেন। সম্পর্কের টানাপোড়েন থাকলেও একে-অপরকে ডিভোর্স দেননি কোনওদিন। সিঙ্গেল মাদার হয়েই ছেলেকে মানুষ করেছেন তিনি। পেশায় ব্যবসায়ী প্রবাল। সিদ্ধান্ত মহাপাত্রের সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পরই রচনা বিয়ে করেন প্রবালকে। ২০২৬ সাল থেকে তাঁরা আলাদা থাকতে শুরু করেন। তবে ডিভোর্স দেননি।
এক সাক্ষাৎকারে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, স্ত্রী হিসেবে নিজেকে শূন্য দিতে চান রচনা। কারণ কোনও কম্প্রোমাইজে কখনই তিনি যেতে পারেননি, সেই কারণেই তার বৈবাহিক সম্পর্ক খুব একটা ভাল হয়নি। তবে মা হিসেবে ১০০/১১০ নম্বর দিতে চান রচনা নিজেকে।
কারণ ছেলে প্রণীল বসুকে নিজের মতো করে মানুষ করেছেন রচনা। ২০১৬ সালের পর থেকে প্রবাল ও রচনার সম্পর্কে টানাপড়েনের আঁচ তারা পড়তে দেননি ছেলের উপরে। সেপারেশন এর পর থেকে প্রবাল একজন ভাল বন্ধু হিসাবে সবসময় পাশে ছিলেন রচনার। দীর্ঘ সময় আলাদা থাকলেও ছেলের জন্য যাতায়াত করতেন একে অপরের বাড়িতে। এরই মধ্যে ২০২২ সালে একটি পুজোর প্যান্ডেলে রচনা, প্রবাল ও প্রণীলকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল।
রচনা লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পরে ফের রচনার পাশে দেখা যায় তার স্বামী প্রবালকে। রচনা যখন ভোটের কাজে ব্যস্ত ছিলেন তখন প্রবালই ছেলে প্রণীল ও স্ত্রীর বুটিকের কাজ সামলেছেন।
প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যা করেন অভিষেক, আর পারছেন না ঐশ্বরিয়া
প্রবাল এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে তাঁদের মধ্যে এখনও পারস্পরিক সম্মান বজায় রয়েছে। আর সেই কারণেই আজও সব ঠিক আছে। তবে ফের একসঙ্গে থাকা শুরু করবেন কিনা সে বিষয়ে প্রবাল বা রচনা দুজনে কেউই কিছু জানাননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।