জুমবাংলা ডেস্ক : ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে শুরু থেকেই সরব ছিলেন প্রবাসীরা। গ্রেপ্তারি ও পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপের নানা দেশে। আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার–প্রচারণাও চালান প্রবাসীরা।
পরবর্তীতে খানিকটা ক্ষোভ থেকেই বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাবে না বলে ঘোষণা দেয় বেশকিছু দেশের প্রবাসীরা। তাদের সাথে সংহতি জানিয়ে, ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরাও জানান, রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করেছেন তারা।
তবে সরকার পতনের পর থেকে, ধীরগতিতে হলেও বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো শুরু করেছেন ইতালি প্রবাসীরা। ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার মেরামত ও দেশ পুনর্গঠনে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
ইতালি এক প্রবাসী বলেন, আমরা প্রবাসীরা ঐক্যবধ্য ছিলাম, যতদিন না স্বৈরাচার সরকারের পতন হবে ততদিন টাকা পাঠাবো না। এখন আবার টাকা পাঠাচ্ছি কারণ সরকার পদত্যাগ করেছে। নতুন ভাবে বাংলাদেশ গঠনের জন্যে আমরা প্রবাসীরা ঐক্যবধ্যভাবে ভূমিকা রাখবো ইনশাআল্লাহ। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বেশি করেই টাকা পাঠাচ্ছি। আমরা চাই নতুন সরকার আমাদের দেশটাকে সঠিকভাবে পরিচালনা করুক।
একই সাথে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানো শুরু করেছেন কুয়েতের প্রবাসীরাও। তারা জানান, প্রবাসীরা আগে যারা এসেছে বা নতুন যা আসছে তারা সবাই নির্যাতিত। ছুটিতে গেলেও এয়ারপোর্টে লাঞ্ছিতের শিকার হন। এ ঘটনাগুলো মেনে নেয়া যায় না। নতুন সরকারের কাছে আমদের অনুরোধ এমন যেন আর না হয়।
তারা আরও জানান, আমরা অনেক কষ্টে এ স্বাধীনতা অর্জন করেছি, আমরা যেন সে স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারি। এ স্বাধীনতা রক্ষার্থে আমরা প্রবাসীরা সবসময় পাশে আছি।
এছাড়াও প্রবাসীদের মরদেহ সরকারি খরচে পাঠানো ও যাতায়াতে বিমানবন্দরে হয়রানী বন্ধ এবং বিমানের টিকিট সিন্ডিকেট রুখে দিতে দ্রুত উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ জানান প্রবাসীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।