বিনোদন ডেস্ক : কবিদের বেশভূষা পরে কবিতা আবৃত্তি করে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রলের শিকার হওয়া আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম; বুধবার (২৬ অক্টোবর) বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানায় হাজির হয়েছিলেন। মাসকয়েক আগে স্থানীয় এক সংবাদকর্মীকে সংবাদ প্রকাশের জেরে মুঠোফোনে হুমকির অভিযোগে আলমের বিরুদ্ধে এ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়। তার তদন্তেই হিরো আলমকে থানায় ডাকা হয়েছিলো বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ জানিয়েছে, হিরো আলম ও তার সাবেক স্ত্রী নুসরাত জাহান জিমুকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন এমদাদুল হক নামের এক গণমাধ্যমকর্মী। এ নিয়ে গত ২৭ জুলাই হিরো আলম তাকে মুঠোফোনে হুমকি দিয়েছেন- এমন অভিযোগে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন গণমাধ্যমকর্মী এমদাদ। ওই হুমকির কলরেকর্ডও পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এই ইস্যুতে বুধবার বিকেলে নন্দীগ্রাম থানায় যান হিরো আলম। প্রায় ঘণ্টাখানেক ওই অভিযোগ নিয়ে তার সাথে কথা বলেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
হিরো আলম জানান, পাবনায় শ্যুটিংয়ের কাজ শেষ করে তিনি নন্দীগ্রাম থানায় যান তার বিরুদ্ধে করা সাধারণ ডায়েরি নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলতে। এ সময়, আলম তার সাবেক স্ত্রীসহ তাকে নিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ওই গণমাধ্যমকর্মীকে ফোন দিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন বলেও দাবি করেন।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, আলমের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সাধারণ ডায়েরির তদন্তের ব্যাপারে তাকে থানায় ডাকা হয়েছিলো। কথা বলে তিনি চলে গেছেন।
প্রসঙ্গত, বগুড়ার এক সময়কার ডিশ সংযোগ ব্যবসায়ী আশরাফুল হোসেন আলম বছর কয়েক আগে ‘হিরো আলম’ নাম নিয়ে মিউজিক ভিডিও তৈরি শুরু করেন। এরপর নাটক-সিনেমা নির্মাণ ও অভিনয় করতে শুরু করলে ক্রমেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হতে থাকে। বাংলা ছাড়াও বিভিন্ন বিদেশী ভাষায় গান গেয়ে ট্রলের শিকার আলমের বিরুদ্ধে এর আগে রবীন্দ্র সঙ্গীতের সুর বিকৃতির অভিযোগ ওঠে। পরে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে গিয়ে কখনো বিকৃত সুরে গান না গাওয়ার জন্য মুচলেকাও দেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।