জুমবাংলা ডেস্ক : রমজান মাস আসার আগেই বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দিনাজপুরে পিয়াজের বাজার ফের অস্থির হচ্ছে। কয়েক দফায় দাম বেড়ে সেঞ্চুরি পার করলো দেশীয় পিয়াজ। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বাজারে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পিয়াজে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে।
হিলিতে সপ্তাহ খানেক আগে যে পিয়াজ প্রকারভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, সেই পিয়াজ রবিবার ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকাররা বলছেন, মোকামেই পিয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। দেশীয় পিয়াজের সরবরাহ কমে আসছে। তাই দাম বাড়ছে। পিয়াজ আমদানি না করলে দাম আরও বাড়বে।
অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করলে পিয়াজের দাম না কমলেও স্থিতিশীল থাকবে। সরবরাহ কম ও চাহিদা বেশি থাকায় এই দাম বেড়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
দিনাজপুর শহরের বাহাদুর বাজারেও দাম বেড়েছে। স্থানীয় পিয়াজ বাজারে আসতে এখনো সময় লাগবে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে মুড়িকাটা পিয়াজ বা পাতা পিয়াজ কিনছেন। তবে পিয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণে মুড়িকাটা পিয়াজের দামও বেড়েছে।
পিয়াজ কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, পিয়াজের দাম তো বাড়ছেই। বাধ্য হয়ে মুড়িকাটা পিয়াজ কিনতাম। এখন মুড়িকাটা পিয়াজেও ১৫ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়েছে। আগে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি কিনেছি। রবিবার ৬০ টাকা দরে মুড়িকাটা পিয়াজ কিনেছি।
হিলি বাজারের ক্রেতা আকবর আলী বলেন, এক সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি পিয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে কিনেছি। শনিবার পিয়াজ কিনতে এসে দেখি খুচরা ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারের পাইকারী পিয়াজ বিক্রেতা আবু তাহের বলেন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাভেদে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। হঠাৎ শুক্রবার থেকে মোকামেই দাম বেড়ে যায়। মোকামেই ৪০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এরপর পরিবহন খরচ আছে, কিছু পিয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। সবকিছু বাদ দিয়ে ২ থেকে ৩ টাকা লাভ থাকে। মোকামেই কিনতে পড়েছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি। পাইকারী বিক্রি করছি ১০৭ থেকে ১০৯ টাকা। আর খুচরা বাজারে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
৬ জন হেভিওয়েট বাঙালি নায়িকা, যারা ক্যামেরার সামনে পোশাক খুলে ফেলেন
উল্লেখ্য,অভ্যন্তরীণ বাজারে পিয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণ করে ভারত সরকার। চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।