আধুনিক আবাসিক হোটেলে থাকলে আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন—অনেক কক্ষেই বাথরুমের দেয়াল পুরোপুরি কাঁচের। প্রথম দেখায় বিষয়টি অস্বস্তিকর বা অপ্রয়োজনীয় মনে হতে পারে। কারণ প্রচলিত দেয়ালইতো বেশি সুরক্ষিত। তবুও বিশ্বজুড়ে নামী হোটেলগুলো ইচ্ছাকৃতভাবেই এই নকশা বেছে নিচ্ছে। এর পেছনে শুধু সৌন্দর্যের বিষয় নয়, বরং অতিথির অভিজ্ঞতাকে আরও বিলাসবহুল ও প্রশস্ত করে তোলাই মূল লক্ষ্য। সূত্র: এনডিটিভি।

কাচের দেয়াল ঘরকে বড় ও খোলা দেখাতে সাহায্য করে। শক্ত, বন্ধ দেয়াল বাদ দিলে শোবার ঘর ও বাথরুমের মধ্যে এক ধরনের ধারাবাহিকতা তৈরি হয়, ফলে পুরো জায়গাটা কম গাদাগাদি লাগে। বিশেষ করে শহরের হোটেলগুলোতে, যেখানে কক্ষের আয়তন সীমিত, সেখানে এই ডিজাইন জায়গার অনুভূতিকে দ্বিগুণ করে তোলে। আলো সহজে ছড়িয়ে পড়ে, ঘরে মনে হয় বেশি বাতাস চলাচল করছে ।
এই ধরনের বাথরুম নকশা বিলাসিতার প্রতীক হিসেবেও কাজ করে। স্বচ্ছ বা ফ্রস্টেড গ্লাস আধুনিক, মিনিমাল ও প্রিমিয়াম লুক দেয়, যা অতিথির মনে ‘লাক্সারি স্টে’-এর অনুভূতি জাগায়। সাধারণ হোটেল রুমের বদলে নিজেকে একটু বিশেষ জায়গায় আছি—এমন বার্তা দেয় এই ডিজাইন।
আরেকটি বড় কারণ হলো প্রাকৃতিক আলো। কাঁচের দেয়ালের মাধ্যমে শোবার ঘর বা জানালার আলো সহজেই বাথরুমে ঢুকে পড়ে। এতে দিনের বেলায় অতিরিক্ত লাইট জ্বালানোর প্রয়োজন কমে, শক্তি সাশ্রয় হয়। পাশাপাশি উজ্জ্বল বাথরুম দেখতে আরও পরিষ্কার ও সতেজ লাগে, যা অতিথির আরাম বাড়ায়।
অনেকের মনে প্রশ্ন আসে—তাহলে গোপনীয়তা? হোটেলগুলো সাধারণত এই বিষয়টি মাথায় রেখেই কাচের দেয়াল ব্যবহার করে। ফ্রস্টেড গ্লাস, স্লাইডিং পর্দা বা ব্লাইন্ডস দেয়া থাকে, যা প্রয়োজনে টেনে নেয়া যায়। অর্থাৎ, অতিথি চাইলে পুরোপুরি প্রাইভেসিও পান, আবার চাইলে খোলা অনুভূতিও উপভোগ করতে পারেন।
সবশেষে, গ্লাস ওয়াল বাথরুম আধুনিক ডিজাইন ট্রেন্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ২০২৫ সালের ইন্টেরিয়র ট্রেন্ডে ওপেন স্পেস, মাল্টি-ফাংশনাল ডিজাইন ও আলোকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। হোটেলগুলো এই ট্রেন্ড অনুসরণ করে নিজেদের আলাদা পরিচয় তৈরি করতে চায় এবং অতিথিদের জন্য একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা দিতে চায়।
সব মিলিয়ে বলা যায়, হোটেল বাথরুমে কাঁচের দেয়াল শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়—এটি জায়গার অনুভূতি বাড়ায়, বিলাসিতা যোগ করে, আলো ও শক্তি ব্যবহারে সুবিধা আনে এবং আধুনিক আতিথেয়তার অংশ হয়ে উঠেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।


